বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০ ২৪
জামিউল ইসলাম তুরান, শান্তিগঞ্জ::
১ আগস্ট ২০ ২২
১:০ ৪ পূর্বাহ্ণ

হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বেতন ভাতা বন্ধ
শান্তিগঞ্জে সহ সুপারের চাকরীর এমপিওভূক্তি নিয়ে টালবাহনা

উচ্চ আদালতের আদেশকে অমান্য করে শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার কামাল হোসেনের নিয়োগের এমপিও ভূক্তি নিয়ে অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় মাদ্রাসার সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধ করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক।

হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার কামাল হোসেনের করা উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন ও উপজেলা জেলা পর্যায়ে করা বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রতিবদন সূত্রে জানা যায়,বিগত ২৬ এপ্রিল ২০০৩ তারিখের মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিগত ২৭ এপ্রিল ২০০৩ ইং তারিখে মাদ্রাসায় যোগদান করেন কামাল হোসেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভূক্ত হলে সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম কমিটির লোকজনের যোগসাজশে কামাল হোসেনকে বেআইনিভাবে এমিপওভূক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সহ সুপার কামাল হোসেন যথাক্রমে তৎকালীন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার, নির্বাহী কর্মকর্তা,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেন এমপিওভূক্তি পাওয়ার জন্য।

আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা যাচাই করে প্রত্যেকেই কামাল হোসেনের এমপিওভূক্তি বহাল রাখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও মাদ্রাসা সুপারের কাছে প্রতিবেদন প্রেরন করেন। কিন্তু এই সমস্ত আদেশে কর্ণপাত করেননি মাদ্রাসা সুপার। পরে নিরুপায় হয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন কামাল হোসেন। রিট পিটিশন নং ১০৩৭৫/২০১৪ দায়ের করলে বিগত ১১ জুলাই ২০১৯ ইং কামাল হোসেনের পক্ষে রায় দেয় উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে বিগত ২৭ জানুয়ারী ২০২১ তারিখের ৪০ নং স্মারকে কামাল হোসেনকে এমপিওভূক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রোক্ত স্মারকে হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলামকে অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু অত্র মাদ্রাসার সুপার অদ্যবদি কামাল হোসেনকে এমপিওভূক্তির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার কামাল হোসেন জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পরও এমপিওভূক্তির বিষয়ে সুপারের গাফিলতির কারনে আমি নিরুপায়। আমার এমপিওভূক্তি বহাল রাখার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যপারে রফিকুল ইসলাম জানান,আমি এমপিওভূক্ত করার মালিক নয় কাগজ পাঠিয়েছি। কোথায় কাগজ পাঠিয়েছেন, কি কাগজ পাঠিয়েছেন, তা তিনি বলতে রাজি নন।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ