৯:৪৬ অপরাহ্ণ
নতুন পুলিশ কমিশনার আরিফ# # ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু ঘটে রায়হানের # আটক আকবরের ছোট ভাই # সিসিটিভির ফুটেজ গায়েবে সহযোগী কথিত এক সাংবাদিক # সোমবার প
৪ বছর পর সিংহাসন হারালেন গোলাম কিবরিয়া !
ফয়সাল আমীন:: দীর্ঘ ৪ বছর পর সিংহাসনচ্যুত হলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’ হয়নি সিলেটে তার। নত মস্তিষ্কে, বিব্রত মুখেই সিলেট ত্যাগ করছেন তিনি। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ঘটনা সামাল দিতে না দিতেই বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান নির্যাতন ও হত্যা ঘটনার সমালোচনার মুখে পড়ে বদলি হতে হলো তাকে। এদিকে, এসআই আকবর পালাতে সহায়তাকারী সনাক্ত পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত ৩ সদস্যের টিম সিলেটে তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরে গেছেন। সংগিৃত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি। বন্দর বাজার পুলিশ ফাড়ির বরখাস্ত কৃত ইনচার্জ এস আই আকবরের ছোট ভাই আরিফকে আটক করেছে র্যাব। আরিফ বিভিন্ন অনলাইন টিভিতে আকবরের পক্ষে সাফাই বক্তব্য দিয়ে নিজকে ফোকাস করেছিল। অপরদিকে, ফাঁড়ি অভ্যন্তরে নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ মুছতে আকবরকে সহায়তাকারী এক স্থানীয় সংবাদকর্মীর ভূমিকা প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া ভোতা অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রায়হানের এমন তথ্য উঠে এসেছে ২ দফা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন, রায়হান পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসী সাক্ষাতকালে পিবিআই এর পুলিশ সুপার এস এম খায়রুজ্জামান তাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, অতি স্বত্বর ভালো সংবাদ দিতে পারবেন তাদের।
বদলির মধ্যে দিয়ে সিংহাসনচ্যুত হলেন কিবরিয়া, নতুন কমিশনার নাশিরুল আরিফ:
নেহাত ভদ্র ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন এসএমপি সদ্য বদলি হওয়া কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। কিন্তু তার অধিনস্থ মেট্রো পুলিশের চেইন অব কমান্ড নিয়ে চাপা ক্ষোভ ছিল খোদ নিজ বাহিনীর মধ্যে। একজন প্রশাসক হিসেবে তার দক্ষতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তারপরও দীর্ঘ ৪ বছর কমিশনারের চেয়ারে বসে সিংহাসন চালিয়েছেন মেট্রো এলাকার। কিন্তু শেষ ভালো হয়নি তার। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ঘটনার পর বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান নির্যাতন ও হত্যা ঘটনায় কম্পিত হয়ে উঠে তার সিংহাসন। সাধারন জনগনের কাছে সমালোচিত হন তিনি ও তার অধিনস্থ বাহিনী। রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় এসএমপি কর্মকর্তাদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয় একাধিক প্রতিবেদন- মন্তব্য প্রতিবেদন। এসব আলোচনা-সমালোচনার মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বদলি করা হয়েছে এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া পিপিএম-কে। রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে বদলি করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের আরও ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি/পদায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে। বদলির কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে ‘জনস্বার্থ’ উল্লেখ করে আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বদলি করা কর্মকর্তাদের দ্রুত নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে, বিশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)-এর উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক নিশারুল আরিফকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ
কমিশনার হিসেবে। উল্লেখ্য,২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর সালের নভেম্বরে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছিলেন পুলিশ সদর দফতরের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গোলাম কিবরিয়া।
পুলিশ হেডকোয়াটারর্স তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দাখিল হবে আগামী সোমবার:
রয়হান নির্যাতন ্ও হত্যার প্রধান হোতা এসআই আকবর রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়া সর্বত্র। এরই পেক্ষিতে পালাতে সহায়তাকারী সনাক্তে একটি তদন্ত টিম গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর। গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এআইজি মুহাম্মদ আয়ুবের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিলেটে পৌছে রাত ৮টার দিকে নিহত রায়হানের আখালিয়াস্থ নেহারী পাড়ার বাড়িতে যেয়ে কথা বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পরদিন বুধবার দুপুর পর্যন্ত সদর দফতরের তদন্ত কমিটি এসএমপিতে অবস্থান করে
তদন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন। এরপর ওই দিনই রওয়ানা হন ঢাকা অভিমুখে। সংগিৃত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সোমবার (২৬ অক্টোবর) দাখিল করা হবে বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এ টিমের প্রধান, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি- ক্রাইম অ্যানালাইসিস বিভিাগ) মুহাম্মদ আয়ুব।
র্যাবের হাতে আটক পলাতক এসআই আকবরের ছোট ভাই আরিফ:
বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত সাবেক ইনচার্জ পলাতক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফ হোসেন ভূঁইয়াকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বেড়তলা বগৈর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব। আরিফ ভুইয়া বিভিন্ন অনলাইন টিভিতে তার ভাইর পক্ষে সাফাই গেয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সে বলেছিলো, তার ভাই খুবই সৎ। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই ওঠেনা। বিগত ১ বছর থেকে সে ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করেছে, কেউ তাকে সরাতে উদ্দেশ্যপ্রনোধিত ভাবে এ ঘটনা সাজিয়েছে, যা সম্পূন্ন যড়যন্ত্র। সে অভিযোগ করেছিলো, তার ভাইকে কেউ গুম বা খুন করে রাখতে পারে। সে ফেরত চায় তার ভাইকে। ফলে রায়হান হত্যাকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ জনতা আরিফকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার দাবী তুলেছিলো । অবশেষে সে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার স্বস্তিকর খবরে আপ্লুত সিলেটবাসী।
সিসিটিভির ফুটেজ মুছতে সহায়তাকারী কথিত এক সাংবাদিকের সন্ধান :
রায়হান নির্যাতন ও হত্যার ঘটনার দায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লাপাত্তা হয়ে যান বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়া। কিন্তু লাপাত্তা হলেন সেইসঙ্গে গায়েব করা হয় ফাঁড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। আর ফাঁড়ি অভ্যন্তরে নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ মুছতে এসআই আকবর সহ তিনজনে মিলে গায়েব করেন সিটি ক্যামেরার ফুটেজ। অপর দু’জন হলেন- ফাঁড়ির টুআইসি এসআই হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমান। এসআই আকবরের সোর্স ও ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতেন নোমান। তার বাড়ি কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বুরিডহর গ্রামে হলেও নগরের হাউজিং এস্টেটে ভাড়া থাকতেন। তার বাবা মো. ইছরাইল আলী কোম্পানিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। তার মা মোছা. বিলকিস আক্তার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কোম্পানিগঞ্জের স্বাস্থ্য কর্মী বলেও জানা গেছে। এরই মধ্যে নোমানের সন্ধানে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে। তার পরিবারের লোকজনকেও বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এদিকে, পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি এসআই আকবরকে পলায়নে এসআই হাসানের সহায়তার প্রমাণ পায়। নির্যাতনের তথ্য গোপন ও এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তা করায় বুধবার (২১ অক্টোবর) হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলীর শেখ। সূত্র জানায়, নগরের গ্যালারিয়া শপিং সিটির ফ্রেন্ডস কম্পিউটার নামের একটি দোকান থেকে নতুন হার্ডডিস্ক কিনে সংযোজন করে পুরনো হার্ডডিস্ক সরিয়ে নেন আকবর, হাসান ও নোমান। ওই দোকান থেকে ১২০০ টাকায় ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্কটি কেনা হয়। যার ইনভয়েস নম্বর ২৪৬০২। এরপর কম্পিউটারের দোকানের এক কর্মচারীকে নিয়ে সেই হার্ডডিস্কটি বদলে দেন নোমান। ফাঁড়িতে দায়িত্বরত অনেকে এ বিষয়টি দেখতে পেয়েছেন। আর সেই মার্কেটের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটি। আর নোমানের সঙ্গে এসআই আকবরের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আকবরকে খালাতো ভাই পরিচয় দিতেন নোমান। বিভিন্ন হোটেল, হকার, যানবাহন, নিষিদ্ধ ব্যবসা থেকে এসআই আকবরের কালেকশন ম্যান ও সোর্স ছিলেন নোমান। তার ইশারাতেই এসআই আকবর বিভিন্ন লোকজনকে ধরে এনে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে টাকা আদায় করতেন। এসআই আকবর ও এসআই হাসানের সঙ্গে নোমানের প্রায়ই আড্ডা হতো। তদন্ত কমিটির তথ্যমতে, এসআই হাসান উদ্দিন ওই কাজে সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি তিনি ঘটনার দিন নোমানের সঙ্গে ৪০ বার কথা বলেছেন। এরআগের দিন নোমানের সঙ্গে ফাঁড়ির টুআইসি এসআই হাসানের কথা হয় ১৯ বার। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ বলেন, আকবরকে পালাতে সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে নেওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। বাকিদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে পিবি
ভোতা অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রায়হানের:
রায়হানের দ্বিতীয় দফার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল (বৃহস্পতিবার) পিবিআইকে হস্তান্তর করেছে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগ। দুপুরে তদন্ত প্রতিবেদনটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিহত রায়হানের প্রথম দফা ময়না তদেন্তর রির্পোটের সাথে মিল রয়েছে দ্বিতীয় দফার রিপোর্টটির। রায়হানের মৃত্যু হয়েছে ভোতা অস্ত্রের আঘাতের কারণেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম জানান, রায়হানের দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এই রিপোর্টটি প্রাথমিক রিপোর্ট। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদের উপস্থিতিতে আখালিয়া নবাবী মসজিদ কবরস্থান থেকে তোলা হয় রায়হানের লাশ। এরপর ২য় দফা ময়না তদন্ত শেষে লাশ কবরস্থ করা হয় ওই দিন বিকেলেই।
পিবিআইর সাথে রায়হান পরিবারের সাক্ষাত :
রায়াহন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে নতুন কর্মসূচীর প্রথম দিন গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ পিবিআই কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রায়হানের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার মুরুব্বিয়ান। এসময় তাদের রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস প্রদান করেন সিলেট পিবিআই’র এসপি খালেকুজ্জামান। পিবিআই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান সাংবাদিকদের বলেন, যদিও তদন্তকাজে ধীরগতি রয়েছে, তবু তাদের কাজ আমাদের কাছে পজিটিভ। কারণ- পিবিআই'র হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এতে আমরা আশাবাদি। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে এসপি খালেকুজ্জামান আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে এবং সময় দিতে বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেছেন, রায়হানের করুণ মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সবাই শাস্তির আওতায় আসবে। তাঁর এই কথায় আমরাও আশা রাখছি, এস.আই আকবর গ্রেফতারসহ সকল দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। পিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনকি সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, সমাজসেবী শওকত হাসান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রসঙ্গত, হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৭২ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলো তার পরিবার। গত রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসআই আকবরসহ অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন রায়হানের মা সালমা বেগম। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা (৭২ ঘন্টা) অতিক্রম হয় গত বুধবার দুপুরে। এরপর বুধবার রাতেই ৩ দিনের নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করেন রায়হান পরিবার ও এলাকাবাসী। এর মধ্যে নতুন কর্মসূচীর প্রথমদিন গতকাল ছিল তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ।