৭:৪১ অপরাহ্ণ
বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতা মেলেনি
সন্তান জন্মের আগেই পঙ্গু সন্তান জন্ম নেবে বলে ভবিষদ্বাণী করা হলো। কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান জন্ম নিল। ঠিক এমনটাই ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে। এই প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই দুর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনা হয়। অবশেষে সরকারি তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০২১ সালে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
এই প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই বিশ্বনাথের উত্তর মশুলা গ্রামের শামীম আহমদ সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন যে, তাকে সরকারি টিউবওয়েল প্রদানের জন্য বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানও একই অভিযোগ করেন। সিলেটের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ গিয়ে অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করেন।
২০২২ সালের ৭ এপ্রিল তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন যে, তদন্তকালে অভিযোগটির কোনো সত্যতা মেলেনি। এছাড়া এই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এই তদন্ত প্রতিবেদনের পরও বিশ্বনাথে ওই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগের সমাপ্তি ঘটেনি। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া দুর্নীতি করছেন বলে গত মাসে ও চলতি মাসে বিশ্বনাথের কয়েকজন সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এই মামলাগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনিই বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান। তাঁর প্রচেষ্টায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সহায়তায় বিশ্বনাথে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলায় এমন বিশাল অঙ্কের সরকারি বরাদ্দ এই প্রথম। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা দায়ের প্রসঙ্গে বলেন, একটি মহল তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাঁর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করাচ্ছে। গত মাসে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত আছেন। তাই এই প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো সুযোগই নেই। তিনি বলেন, হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়।