৬:০ ৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জে ছেলের হাতে বাবা খুন, মা গুরুতর আহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে কোদাল ও দা দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যা করলো পাষণ্ড এক ছেলে। এসময় জন্মদাতা মা-কেও রেহাই দেয়নি সেই নিষ্ঠুর সন্তান। মা-কেও কোদাল এবং দা দিয়ে কুপিয়েছে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা-কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে এ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল করিম কাসেমি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোলপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনাই (৬০)-এর ছেলে রাহেল আহমদ (৩৫) বাড়ির সামনের কয়েকটি গাছ কাটতে যায়। এসময় বাবা আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনাই এবং মা মিনারা বেগম (৪৫) রাহেলকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
এ নিয়ে সে মা-বার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হয় সে। এক পর্যায়ে মা-বাবার প্রতি প্রচন্ড রেগে গিয়ে রাহেল হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে মা-বাবাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এসময় তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে রাহেলের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে নিজেরই নিষ্ঠুর সন্তানের দা ও কোদালের আঘাতে পরপারে চলে যান জন্মদাতা পিতা।
তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শওকতুর রহমান আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনাইকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মিনারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, মা-বাবাকে কুপানোর পর তাকে গ্রামের মানুষ আটক করতে গেলে কয়েকজনকে কুপিয়ে রাহেল পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
অপরদিকে, খবর পেয়েই গোলাপগঞ্জ থানাপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে এবং রাহেলকে আটকের চেষ্টা চলছে।