সোমবার, নভেম্বর ৪, ২০ ২৪
ড্রীম সিলেট ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ২০ ২০
৪:৩৩ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথের দারোগা সঞ্জু করোনার চেয়েও ভয়াবহ 

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: সারাদেশ ব্যাপী যখন মানুষ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহে আতংকিত ও উদ্বিগ্ন, তখন বিশ্বনাথ থানার দারোগা সঞ্জু করোনার চেয়ে ও ভয়াবহ এক কান্ড করে নজির স্থাপন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার শবে বরাতের দিন বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের দ্বীপবন্ধ বিলপার  গ্রামের মনোহর আলীর বাড়ির পাশের ঘরে উচ্চ সুরে গান বাজিয়ে নগ্ন ভাবে নাচ গান হচ্ছিল। শবে বরাতের দিনের জন্য আপত্তি করেছিলেন মনোহর আলীর স্ত্রী। এ কারণে দলবেঁধে তার উপর হামলা চালানো হয়। মাকে রক্ষা করতে মেয়েরা এগিয়ে আসলে দুই মেয়েকে প্রতিপক্ষ দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে মনোহর আলীর ছেলেরা বাড়িতে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হন। দু’পক্ষের চার জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মনোহর আলীর দুই মেয়ের গুরুতর জখম রয়েছে। উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু গরিব দিনমজুর মনোহর আলীর ছেলেটির মামলা রেকর্ড হয়নি। প্রতিপক্ষ বিত্তশালী থাকায় তাদের মামলা রেকর্ড করে ঘটনাস্থলে যান দারোগা সঞ্জু। সেখানে গিয়ে আসামীদের ঘরে দীর্ঘক্ষন আলাপ আলোচনা করে এসে মনোহর আলীর ছেলেদের বলেন তোমরা থানায় গিয়ে দেখা করোনি কেন, তোমাদের বোন নিজেরা মারপিট করে হাসপাতালে ভর্তি করেছ। তোমাদের ঘটনা মিথ্যা পেলাম। দারোগার এমন কথায় মনোহর আলীর পরিবার হতাশ এবং মর্মাহত হয়ে পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা করেন। কারণ তাদের ঘরে খাবার নেই। গাড়ি ভাড়ার টাকা ও নেই , আসামী হয়ে ধরা পড়লে অনেক দিন জেলে থাকতে হবে। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কারো বাড়িতে জায়গা দিচ্ছে না। ফলে পুরো পরিবার ভয়ে আতংকিত। এদিকে প্রতিপক্ষের বিদেশ থাকা আত্মীয় স্বজন মনোহরের দুই পুত্রকে খুন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই মনোহরের প্রতিপক্ষ দা ডেগার নিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে পাহারা দিচ্ছে। গ্রামবাসী এমন ঘটনা আঁচ করতে পেরে বার বার বিচারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু দারোগা সঞ্জুর সহায়তায় বার বার বিচার এড়িয়ে যাচ্ছে। বিচার পর্যায়ে বিষয়টি থাকাবস্থায় দারোগা একটি মামলা রহস্য জনক ভাবে রেকর্ড করলেন।  
এক পর্যায়ে দারোগা সঞ্জু গতকাল বুধবার দুই জন পুলিশ নিয়ে আসামি ধরতে মনোহর আলীর বাড়িতে যান। তখন মনোহর আলীর কেউ বাড়িতে ছিলো না। খবর পেয়ে গ্রামের কিছু মুরব্বি জমায়েত হন। কিন্তু তাদের দেখে দারোগা প্রতিপক্ষের ঘরে দরজা বন্ধ করে সুরগ ভূনা করে খাওয়া দাওয়ার প্রায় দুই ঘন্টা বসে আসামি না পেয়ে বেড়িয়ে যান। করোনার ভয়ে সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কঠোর নির্দেশ দিলে ও দারোগা সঞ্জু এক ঘরে বসে আট দশ জনকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে করোনার চেয়ে প্রভাব দেখালেন। বিষয়টি মামলার বাদী জুয়েল উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাকে জানালে ওসি আহত দুই মেয়েকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন আজ বৃহস্পতিবার আহত দুই মেয়েকে থানায় নিয়ে গেলে দারোগা সঞ্জু তাদের আহত স্থানের ব্যান্ডেজ খুলতে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করেন। উপস্থিত মুরব্বি দুজন মেয়েদের সাথে এমন আচরণের আপত্তি করলে দারোগা  সঞ্জু  তাদের অপমান করে থানা থেকে বের করে দেন। 
বিজ্ঞানিরা বলেন পৃথিবীর শক্তির উৎস সূর্য। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের শক্তির উৎস টাকা। এ কারণে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত আছে।
 

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ