৭:৪২ অপরাহ্ণ

যাতায়াতে ভো’গা’ন্তি পেতে হচ্ছে পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালায়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের!
পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালায়ে যাতায়াতের রাস্তা ভেঙ্গে ফেলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (০৭.১০,২০২৫) সকালে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের কয়েকজন লোক মসজিদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে বাধা দেন। তারা আবারো বুধবার মসজিদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে নিষেধ করেন।
যার ফলে শিক্ষরা বুধবার বিদ্যালয়ে না গিয়ে উপজেণা প্রথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে রিষয়টি আবারোও অবগত করেন। গ্রামবাসী এণাকার শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার বথা চিন্তা না করে বিদ্যালয়ের রাসাতা নির্মান না করে শিক্ষকদের সাথে অন্যায় অচরনের রহস্য খুজে বের করা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন। সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে বার বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেও বিযয়টি নিয়ে কোন সমাধানে পৌছানো সম্ভব হয়নি।
গত বছর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের প্রচেষ্টায় বিষয়টি সাময়িক ভাবে সমাধান হয়। কিন্তু এ বছর মে মাসে অবারও কিছু লোকজন মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কমর্কতা বরাবরে বিদ্যালযের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম আবেদন করেন। যার স্মারকনং৩৮.০১.৯১৬২.০০০.২৫.০২৬.২৫-৪০৮।
এর পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুল জলিল তালুকদার গ্রামের লোকজনের সহযোগিতা না পাওয়াতে রাস্তা নির্মানসহ তেমন এগুতে পারেননি।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার পরও অনেক চেষ্টা করেও এলাকাবাসী সহায়তা না করায় ব্যর্থ হয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুল জলিল তালুকদার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীও শিক্ষকদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে এলাকায় নিজেইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শ্যামল চন্দ্র দাশকে নিয়ে আসেন।
কিন্তু এলাকার লোকজনের সহায়তা না পাওয়ায় চলে যান। এ সময় তারা ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রাস্তা নির্মানে সকলকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান। নাম প্রকাশে অন্চ্ছিুক একজন অভিভাবক জানান বিদ্যালয়ের দলিল পত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বিদ্যালয়ের সঠিক জায়গা নিধারন করে বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মান করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সুযোগ সুবিধা করে দেয়া প্রয়োজন।
এছাড়া রাস্তা না থাকায় বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী অন্য বিদ্যালয়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম জানান, করোনা মহামারির পর থেকে কিছু লোকজন মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেন। বিকল্প রাস্তা নির্মান না করে বিদ্যালয়ের যে রাস্তা ছিল তা ভেঙ্গে ফেলার পর আমার ছাত্রছাত্রীসহআমরা যাতায়াতে খুব ভোগান্তি পাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।