বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০ ২৪
কুলাউড়া প্রতিনিধি::
২৪ জানুয়ারী ২০ ২১
২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়ায় মিশন হাসপাতালে নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে চাকুরীচূত্যের হিড়িক

কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার মিশন হাসপাতালে নারী কেলেঙ্কারির প্রধান হোতা হিসাবরক্ষকে আটক করার পর থেকে উল্টো স্টাফদের চাকুরীচূত্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতালের অধিকাংশ স্টাফদের মধ্যে চাকুরী হারানোর সংশয় এবং ভয় দেখা দিয়েছে।

এ নিয়ে চলছে নানা তোলপাড়। জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার 'খ্রীষ্টিয়ান মিশন' হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ডেভিড তাপাদার গত ২৪ নভেম্বর গভীর রাত্রে হাসপাতালে নার্স এলি বিশ্বাসের কক্ষে প্রবেশ করেন। বিষয়টি হাসপাতালের কর্তব্যরত নাইটগার্ড সাধন অধিকারী টের পান। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই কক্ষের নার্সের চিৎকারে কর্তব্যরত নাইটগার্ড সাধনসহ হাসপাতালের লোকজন ছুটে যান। এ সময় হাতেনাতে ডেভিড তাপাদার কে তারা ধরে ফেলেন।

পরে উপস্থিত লোকজন হিসাবরক্ষক ও নার্সের কাছ থেকে লিখিত নেন। ঘটনার পরদিনই ওই নার্সকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কৈননিয়া হেড অফিস থেকে তদন্ত টিম এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হিসাবরক্ষক ডেভিড তাপাদারকেও হাসপাতাল থেকে ঢাকা অফিসে নিয়ে যায়।

কিন্তু ডেভিড তাপাদার হাসপাতাল থেকে চলে গেলেও যারা তাকে এ ঘটনায় আটক করেছিলো সে ঢাকায় বসে প্রতিহিংসা বসত তাদের তালিকা করে হাসপাতাল হেড অফিসের প্রকল্প পরিচালক ফাল্গুনি সরকার কে দিয়ে তিন জন নাইট গার্ড ও দুই জন আয়াকে চাকুরীচূত্য করে।

ব্রাহ্মণবাজার মিশন হাসপাতালে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকতা রোমেল ফ্রান্সিস গোমেজ যোগদান করেই ঘটনার প্রায় মাস খানেক পর হাসপাতালের নাইটগার্ড সাধন অধিকারী, আছকির মিয়া, সালেক মিয়া এবং আয়া সুফিয়া বেগম ও হাসনা বেগমকে চাকুরীচূত্য করে তাদের হাতে অব্যাহতি পত্র ধরিয়ে দেন।

এরা সবাই সাবেক হিসাবরক্ষক ডেভিড তাপাদারকে আকাম-কুকামে হাতেনাতে ধরার সময় উপস্থিত ছিলো। এছাড়াও হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার ডেভিড তন্ময় বিশ্বাস এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে তাকে সন্দেহ করে হিসাবরক্ষক ডেভিট তাপাদারের অনুসারীরা যার কারনে ডাক্তার ডেভিড ক্ষোভ নিয়ে হাসপাতাল থেকে স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে চলে যান তিনি।

আরো অনেকে এ ঘটনার পর থেকে চাকুরীচূত্য হওয়ার ভয়ে আতংকিত রয়েছেন বলে বিশ্বস্থসূত্রে জানাগেছে। তবে চাকুরীচূত্যর ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা ক্রমেই ফুঁসে উটছেন হাসপাতাল কৃতপক্ষের উপর। এছাড়াও হাসপাতালের একজন স্টাফ এ ঘটনার পর থেকে তাকে অনৈতিকভাবে অন্য জায়গায় জোরপূর্বক বদলীর স্থগিতাদেশ চেয়ে মৌলভীবাজার জজকোটের অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের মাধ্যমে হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

চাকুরীচূত্যরা জানান, সাবেক হিসাবরক্ষক ডেভিড তাপাদার কৈননিয়া হেড অফিসের প্রকল্প পরিচালক ফাল্গুনি সরকারের একান্ত বিশ্বস্ত লোক হওয়ায় ব্রাহ্মণবাজার মিশন হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে নানা অপকর্মে সে লিপ্ত ছিলো। নার্স কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রথম ফাঁস হলেও, অন্তরালে অপ্রকাশিত অনেক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি।

যার কারনে এখন অনেককে হাসপাতাল থেকে চাকুরীচূত্য করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি। এব্যাপারে ব্রাহ্মনবাজার মিশন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমেল ফ্রান্সিস গোমেজ মুঠোফোনে বলেন,হাসাপতালের আয় কমে যাওয়ায় কিছু কর্মী ছাটাই করা হয়েছে। অন্য কিছু নয়।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ