বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০ ২৪
আসহাবুজ্জামান শাওন, কমলগঞ্জ::
১১ মে ২০ ২২
৮:৪৫ অপরাহ্ণ

কমলগঞ্জে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে কলেজ ছাত্রকে বেদড়ক পেঠালো বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুরে এক কলেজ ছাত্রকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেদড়কভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গুরুতরভাবে আহত মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় আদমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি আনোয়ার হোসেনের উত্তরভাগ বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত মাসুক পারভেজ ইমন (২০) মধ্যভাগ গ্রামের কবির আহমদের ছেলে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্র মাসুক পারভেজ ইমন অভিযোগ করে বলেন, তার মামা সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাতে তার মামার বাড়িতে যাবার পথে উত্তরভাগ এলাকার রাস্তা থেকে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা রুবেল আহমেদ, শেলক জবলু ও মুন্না তাকে ধরে নিয়ে বাড়িতে আটকিয়ে বেদড়কভাবে পিটিয়ে আহত করে ইমনের মা’কে খবর দিয়ে তার কাছে ইমনকে হস্তান্তর করে। পরে তাকে পরিবার সদস্যরা কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে অবহিত করে রাতেই কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা তাকে পেটানোর সময় তার কাছ থেকে নগদ দের লক্ষ টাকা,একটা বেসলেট ও মোবাইফোন লুটে নেয়।

আহত কলেজ ছাত্রের মামা প্রবাসী মোস্তাকার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাগ্নে মাসুক পারভেজ ইমনের জখম গুরুতর। তাকে বিকেলেই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান। তবে অভিযোগ সম্পর্কে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কলেজ ছাত্র মাসুক পারভেজ তাদের বাড়ির কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রায়ই ইভটিজিং করে। এ নিয়ে এর আগেও ছেলের বাবার কাছে বিচার দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতেই সে তাদের (আনোয়ারের) বাড়ির সামনে এসে বাহির থেকে নানাভাবে ঝালাতন করছিল।

তখন তাকে ধরে নিয়ে তার মা’কে ডেকে এনে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মাত্র। পরে হয়তো তার বাবাসহ পরিবার সদস্যরা তাকে মারধর করেছেন। কলেজ ছাত্র মাসুক পারভেজ ইমনের মা বলেন,আমার ছেলেকে খুব অত্যাচার করা হয়েছে।তাকে মেরে ফেলার প্লান করেছে আনোয়ার সহ তার সঙ্গিরা। আমি আমার ছেলের উপড় অত্যাচারের সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন আহত কলেজ ছাত্র একজন ইভটিজার দাবি তিনি সামাজিক বিচারে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করে দিবেন বলে জানান। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ঘটনা জেনেছেন উল্লেখ্য করে বলেন, এখন থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ