১:০ ৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জে গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে সম্পন্ন হল চা শ্রমিকদের ২৫তম কাত্যায়ানী পূজা
কাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষে কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে পুরো কার্তিক মাস ব্রত পালন শেষে মঙ্গলবার রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে হরিনাম কীর্তন শুরু হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাত থেকেই হাজার হাজার ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজা অর্চনা করতে হীরামতি এলাকার ধলাই নদীর তীরে সমবেত হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। নদীর ঘাটে স্নান করতে আসা পূজারীদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি বিতরণ করেন পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা।
এ সময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সাবেক মেয়র, ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসিন মিয়া মধু, মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দীপন কুমার সিনহা, মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা পুস্প কুমার কানু, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
গঙ্গা পূজার উদয়াপন কমিটির সভাপতি শ্রী লক্ষী নারায়ণ করি (দাদু), সহ-সভাপতি পার্থ কাহার ও সাধারণ সম্পাদক রাজু করি জানান, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র কার্তিক মাস জুড়ে এই ব্রত করেন মহিলারা। এই একমাস তারা মশলাবিহীন খিচুড়ি ও সিদ্ধজাত খাবার খেতেন এবং সকালে ধলাই নদীতে স্নান করে নদীর তীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপরই নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ী ফিরে যান। সোমবার গঙ্গা স্নানের আর পূজার্চ্চনা মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চা শ্রমিকদের ২৫তম কাত্যায়ানী পূজা।