৫:১৬ অপরাহ্ণ

গোলাপগঞ্জে ভা'রতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার পণ্য জ'ব্দ!
সিলেটের গোলাপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ তিন চো'রা'কার'বারিকে আ'টক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পু'লিশ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত ১টা ৫০ মিনিটের সময় উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ এসব মালামাল জ'ব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক আনন্দ চন্দ্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর নামকস্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি নীল ও হলুদ রঙের পুরাতন কাভার্ডভ্যান থামানোর সংকেত দিলে সেটি পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া করে গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি চালায়।
এসময় একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ভারতীয় তৈরি ২ হাজার ৪০২ পিছ বডি লোশন, ১১ হাজার ৯শ পিছ ক্রিম, ৪ হাজার ৬২ পিছ ফেসওয়াস, ১৪ হাজার ৭৬০ পিছ ক্রিম, ১৬ হাজার ২৪০ পিছ স্কিন ক্রিম, ৬ হাজার ৪৮ পিছ ক্রিম, ২৭৫ কেজি চকলেট, ১ হাজার ২৯৬ পিছ স্টার ফেসওয়াস জব্দ করা হয়। যার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৮২০ টাকা। আটককৃতরা হলেন-দক্ষিণ সুরমা থানার বারখলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. হৃদয় (২২), মোগলবাজার থানার জাহানপুর গ্রামের মৃত আজমল আলীর ছেলে রুমন আলী (২৩) ও বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ঐঠরা গ্রামের আলঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫)। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৩-৪ জন সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আটক আসামিরা পণ্যের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়, এবং জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।পরে কাভার্ডভ্যানসহ সমস্ত মালামাল বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় এসআই (নিরস্ত্র) আনন্দ চন্দ্র বাদী হয়ে স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ধারা ২৫ই(১)(খ) / ২৫উ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্ল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় প্রসাধনী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।