৬:৪৬ অপরাহ্ণ
বড়লেখায় চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, আহত ৩
চাঁদা না পেয়ে বড়লেখা পৌরশহরে এক ব্যবসায়ীর দোকানে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দোকানের মালিক জাবেদ আহমদসহ তাঁর দুই কর্মচারী আহত হন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পৌরশহরের হাজীগঞ্জ বাজারে। আহত ব্যবসায়ী জাবেদ আহমদ জানান, স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলাম চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার নির্দেশে কয়েকজন লোক দোকানে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে এবং লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে ও কর্মচারীদের পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসী জুবের আহমদ ও বদরুল ইসলাম আমার নাকে-মুখে উপর্যুপরি আঘাত করলে আমার নাক ফেটে রক্ত বের হয় এবং আমি গুরুতর আহত হই। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, সকালে দোকান খোলার পর সাইদুলের ভাই রবিউল ইসলাম সুহেলের দোকানের এক কর্মচারীর সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়, আমি বিষয়টি মীমাংসা করি। কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাইদুলের নির্দেশে কয়েকজন দোকানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়—দোকান খুললে মেরে ফেলবে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাইদুল ইসলাম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে, না দিলে হামলা চালায়। আমরা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি, বরং কয়েকজন সদস্য বলেছেন সাইদুলের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে।
জাবেদ আহমদের অভিযোগ, সাইদুল দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে। ব্যর্থ হয়ে এখন ব্যবসা ও সামাজিকভাবে ক্ষতি করতে চায়। এলাকায় ভয়ভীতি দেখিয়ে সে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাইদুল ইসলামের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি।
লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।