সোমবার, মে ৬, ২০ ২৪
শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা::
২৪ এপ্রিল ২০ ২৪
৩:২১ অপরাহ্ণ

`দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচন প্রতীক বরাদ্ধ সরব-গরম প্রার্থীরা

সিলেটের প্রবেশদ্বার খ্যাত দক্ষিণ সুরমার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের পর প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

নির্বাচনের আর ১৫ দিন বাকী যত দিন ঘনিয়ে আসছে, বাজার, পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে কে হবে এই উপজেলার চেয়ারম্যান।

কে হবে এই উপজেলার চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে। উপজেলায় ৬ জন প্রার্থীরা প্রচারনায় জুড়েসুরে ব্যস্ত রয়েছেন।

তার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোটরসাইকেল প্রতীক এড শামীম আহমদ এপিপি, যুগ্ম সম্পাদক টেলিফোন মার্কা প্রতীক বদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আনারস প্রতীক আলহাজ¦ মঈনুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ঘোড়া প্রতীক জুয়েল আহমদ, নাট্য অভিনেতা কাপপিরিছ প্রতীক (শাহেদ মোশারফ কটাই মিয়া)।

৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

এদিকে মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা কোর্টের রায় পেয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মাইক) মাহবুবুর রহমান, যুবলীগ নেতা (টিউবওয়েল) নন্দন চন্দ্র পাল, (উড়োজাহাজ) মোঃ আব্দুর রহমান, (চশমা) আলী আজগর খান শামীম, (তালা) ফয়েজ আহমদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (পদ্মফুল) আইরিন রহমান কলি, (কলস) হালিমা বেগম, (ফুটবল) ফাহিমা বেগম।

উপজেলা নির্বাচন আগামী ৮ মে প্রথম দাপে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে অনেক প্রার্থীদের নিজ গ্রাম ও ইউনিয়নে সভা এবং উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে না থাকায় আওয়ামীলীগের প্রতীক ছাড়া প্রার্থীরা উম্মুক্ত ভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাঠে কাজ করছেন।

ইতিমধ্যে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ও জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইমান নির্বাচন থেকে প্রত্যাহর করেছেন।

ইতিমধ্যে তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড শামীম আহমদ এপিপি, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল ইসলাম ও যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহমদ বিভিন্ন সভা ও সমাবেশ করছেন। প্রার্থীদের সমর্থিত দলীয় নেতাকর্মীরাও তাদের নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।

দলীয় প্রতীক না থাকায় অনেকটা উম্মুক্তভাবে নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় প্রবীন ও নবীনদের লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য, মঈনুল ইসলাম, এড শামীম আহমদ এপিপি, বদরুল ইসলাম ও জুয়েল আহমদ। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্ধের পর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুয়েল আহমদ ও বদরুল ইসলাম লালাবাজার, মোল্লারগাঁও, মোগলাবাজার, দাউদপুর ইউনিয়নে সভা ও মোটর সাইকেল শোডাউন দিয়েছেন। জুয়েল আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপজেলা নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। এই অঞ্চলে সামর্থ্য অনুযায়ী দীর্ঘদিন যাবত কাজক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

নির্বাচনে জনগন আমাকে রায় দিবেন বলে আশা রাখছি। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে গণসংযোগ ও মাইকিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থীদের সমর্থকরা।

বদরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় আমি নির্বাচন করছি। আমার বহুল পরিচিত রয়েছেন, দলীয় সমর্থন ও সকলের সহযোগিতা পেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বো-ইনশা আল্লাহ।

মঈনুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক। দীর্ঘদিন যাবত আমার জনপদের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি।

যদি জনগন আমাকে রায় দেন, তাহলে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দক্ষিণ সুরমাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করবো। উল্লেখ যে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সিলেটের প্রবেশদ্বার খ্যাত ও প্রশাসনিক স্থাপনা রয়েছে।

এরজন্য এই উপজেলার গুরুত্ব সর্বক্ষেত্রে রয়েছে। উপজেলা পরিষদ ২০০৯সালে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা লোকমান আহমদ প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২ বারের আওয়ামীলীগ সমর্থিতপ্রার্থী আবু জাহিদ এই জনপদের দায়িত্ব পালন করেন।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ