রবিবার, মে ১৯, ২০ ২৪
ডেস্ক নিউজ::
৫ মে ২০ ২৪
৭:৪৭ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েলের ইশতেহার ঘোষণা

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো জুয়েল আহমদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

রবিবার দুপুরে উপজেলার একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জুয়েল তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জুয়েল আহমদ বলেন, লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সরকার বাড়ীর বাসিন্দা জুয়েলের পূর্ব পুরুষ থেকে আজ পর্যন্ত তাদের পরিবারে সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করার বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে।

তিনি তার পিতার পদাংক অনুস্মরণ করে কিশোর বয়স থেকে মানুষের সাথে কাজ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করলেও সব সময় আমার এলাকার প্রতি বিশেষ টান ছিল, তাই তো সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের মাটিতে এসে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।

নিজের অবস্থানকে সুসংহত করতে এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছেন । বিগত করোনা, বন্যাসহ প্রতিটি দুর্যোগকালীন মুহুর্তে মানুষের জন্য আমার হাত প্রসারিত করেছেন।

তার সীমিত কার্যক্রমকে আরো বৃহৎ কলেবরে নিয়ে যেতে আমি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের ভালোবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, সিলেটের পাশ^বর্তী উপজেলা, বিভাগীয় নগরীর প্রবেশদ্বার খ্যাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা।

এ উপজেলাকে জনবান্ধব ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকারি পর্যায়ে গঠনমূলক ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে উপজেলা পরিষদ।

উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত নানাবিধ জটিলতার কারনে উপজেলা পূর্নতা পায়নি। যার কারনে জনগণ তাদের পূর্ন অধিকার থেকে বন্চিত রয়েছে। এ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদকে ঢেলে সাজাতে একটি বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর বাস্তবায়নে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করতে উপজেলাবাসীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

তিনি দক্ষিণ সুরমাবাসীর যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদা পূরনের জন্য দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতির মহাসড়কে দক্ষিণ সুরমাবাসীর ভাগ্যের চাকার গতি বাড়ানোর এক সূবর্ন সুযোগ এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। জুয়েল তার মেধা ও যোগ্যতাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ সুরমাকে স্মার্ট ও নান্দনিক উপজেলা গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি ইশতেহারে উপজেলার প্রতিটি জনপদের যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো জোরদার, রাস্তাঘাট, ব্রীজ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সুপেয় পানিও বজ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন, উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা,সরকারের উপর মহল ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষনিক সমন্বয় রেখে জনবান্ধব উপজেলা গড়ার জোর তৎপরতা চালানো, উপজেলায় ক্রীড়া উন্নয়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন,উপজেলার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি অনুদানের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত সহযোগিতা প্রদান, কারিগরি ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, নারীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের সুবিধা নিশ্চিত করা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা অক্ষুন্ন রাখা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু, বয়স্ক ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সরকার প্রদত্ত ভাতা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্টন করা, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক শহরের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা, প্রতি পরিবারে অন্তত একজন ব্যক্তির রোজগারের পথ নিশ্চিতসহ একটি জনবান্ধব উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি তার আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮ মে নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ