সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১০ , ২০ ২৫
ডেস্ক রিপোর্ট::
৪ সেপ্টেম্বর ২০ ২২
৯:২০ অপরাহ্ণ

দেশ বাঁচাতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে
ড্রীম সিলেটের সাথে সাক্ষাৎকারে ইউকে বিএনপি নেতা জাকির আলম

ডেস্ক রিপোর্ট:: বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্টা এবং গণতন্ত্র সুসংহত করার দাবিতে প্রবাসে অবস্থানরত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই প্রবাসী বাংলাদেশীরা অবস্থান গ্রহণ করে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

গণতন্ত্রের সূতিকাঘার খ্যাত ব্রিটেনে বর্তমানে অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর অবস্থান। যারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে হঠাতে চান। এমনি একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা জাকির আলম বিজয়। যিনি দেশে অবস্থানকালে বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজপথে আন্দোলন করে গেছেন।

অনলাইন পোর্টাল ড্রীম সিলেটের বার্তা সম্পাদক সামী হকের সাথে মুঠোফোনে রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সামী হকঃ বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই। জাকির আলম বিজয়ঃ বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার সম্পূর্ণরুপে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছেন দেশের জনগণের সাথে।

জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে স্বৈরাচারী আচরণ করছেন। অথচ এই তিনিই স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “সেনা ছাউনিতে বসে, বন্দুকের নল চেপে, পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে, জনগণের ভোট কেড়ে নেবে, আর আমরা তা মেনে নেবো, তা হতে পারেনা। আমরা তা হতে দেবোনা।

পুলিশ বিডিআর সেনাবাহিনীকে বলতে চাই, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলে ধরবেন না। তাহলে জনগণ আপনাদের রেহাই দেবেনা। পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনীর আত্মীয় স্বজনরা বাংলার গ্রামে গঞ্জে বাস করে। এদের আত্মীয় স্বজনদের ঠিকানা খুঁজে বের করুন। সতর্ক করে দিন। হুশিয়ার করে দিন।

আর যদি এ দেশের মানুষের উপর গুলি চালানো হয়, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়, আমাদের আহবান, প্রতিশোধ নেবেন। ‘লাশের পরিবর্তে লাশ’ চাই’।” অথচ বর্তমানে এই শেখ হাসিনাই এমন আচরণ করছেন দেশের মানুষের সাথে। সামী হকঃ ২০২৩ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন। আপনি কি মনে করেন সামনের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সব দল অংশ নেবে? জাকির আলম বিজয়ঃ দেখুন বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে রাখতে, রং হেডেড শেখ হাসিনা গত একদশকে সরকার ও প্রশাসনে একটি সুবিধাবাদী-দুনীতিবাজ- খুনি চক্র গড়ে তুলেছেন।

প্রশাসনে থাকা মাফিয়াদের দোসর এই দুর্নীতিবাজ-খুনি-সুবিধাবাদী চক্রটি মনে করে, মাফিয়া সরকারের পতন হলে জনগণের রোষানল থেকে তারা রেহাই পাবেনা। অপরদিকে মাফিয়া সরকার মনে করে প্রশাসনে গড়ে ওঠা খুনি-দুর্নীতিবাজ চক্রটিকে রক্ষা করা না গেলে মাফিয়া সরকারের পক্ষে বিনাভোটে আর ক্ষমতা দখল করে রাখা সম্ভব হবেনা।

এমন পরিস্থিতিতে আমরা এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের কোন আলামত দেখছিনা। সামী হকঃ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আপনাদের ম্যাসেজ কি হবে? জাকির আলম বিজয়ঃ আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও জনপ্রশাসনের প্রতি আহবান জানাবো চিহ্নিত খুনি-দুর্নীতিবাজ-সুবিধাবাদীদের অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখতে র‌্যাব-পুলিশ কিংবা প্রশাসনের যেসব অতিউৎসাহী কর্মকর্তা এতদিন গণতন্ত্রকামী মানুষকে খুন গুম অপহরণ করেছে, সেইসব খুন গুম অপহরণকারীরা ইতোমধ্যেই দেশে বিদেশে চিহ্নিত।

দেশে বিদেশে কোথাও এদের ঠাঁই হবেনা। ভবিষ্যতে অবশ্যই তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আগামী নির্বাচে যাতে তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন সেই আহ্বান জানাচ্ছি। সামী হকঃ সবকিছুর পর দেশে বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ হয়েছে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।

সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি আবারো শেখ হাসিনা সরকারকে ভোট দেয় তাহলে আপনাদের অবস্থান কি হবে? জাকির আলম বিজয়ঃ যে মাফিয়া সরকার হসপিটালের সুঁই-সুতা-কাঁথা-বালিশ কিনতেও দুর্নীতি আশ্রয় নেয়, সেই মাফিয়া চক্র পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কত হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে, জনগণকে সেই হিসাব তো আগে দিতে হবে। জনগণ তাদের প্রতিটি টাকার হিসাব চায়।

জনগণ তাদেরকে আবার ভোট দেবে এমনটি ভাবার কোন অবকাশ নেই। আর এই সরকার সহজেই ক্ষমতা ছাড়বেনা । তাদেরকে হটাতে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসতে হবে। এই আন্দোলনের স্লোগান, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে’। সামী হকঃ প্রবাসে চরম ব্যস্থতার পরও আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। জাকির আলম বিজয়ঃ ড্রীম সিলেটকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ