সোমবার, মে ৬, ২০ ২৪
ড্রীম সিলেট ডেস্ক
১১ নভেম্বর ২০ ২০
৮:১৬ অপরাহ্ণ

নবীগঞ্জে আলুর দাম নিয়ে লুকোচুরি

জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ:: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌর শহরসহ উপজেলাজুড়ে আলুর দাম নিয়ে লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। দিনের ব্যবধানে নয়, ঘন্টার ব্যবধানেই প্রতি কেজি আলুতে ৫-১০ টাকা করে ওঠানামা করছে। সরকার কতৃক নির্ধারিত দামের চেয়ে কমপক্ষে ১০-১৫ টাকা বেশী দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু। নবীগঞ্জ সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায় খুচরা বাজারে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি ধরে, আর হল্যান্ড আলু বিক্রি হচ্ছে  ৪৫ টাকা। পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ও হল্যান্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আর একসাথে পাঁচ কেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকা এবং হল্যান্ড আলু বিক্রি হয় ২০০ টাকা দরে। যদিও কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবজি বিক্রেতাদের সাথে সভা করে জানিয়ে দেওয়া হয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা আর পাইকারি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এরপরও বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে আলু সংকটকে কাজে লাগিয়ে  অস্বাভাবিক হারে আলুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে আলুর মজুদদাররা।  অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবার টেবিলে ভোক্তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় আলু। কিন্তু সেই আলুর দামও অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়েছেন বিপাকে। 

এ অবস্থায় সরকার আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজারে আলুর বিক্রি মূল্য বেঁধে দেয়। নবীগঞ্জে পূর্বের আলু মজুদ শেষে নতুন আলু আসলেও আলুর দাম কমছে না।

নবীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্য বাজারের কয়েকজন খুচরা আলু বিক্রেতার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা বলেন, প্রশাসন প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রির জন্য বলছে। কিন্তু আমরা এ আলু পাইকারদের কাছ থেকেই কিনে এনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে। এতে কীভাবে আমরা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করব? সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে হলে আমাদের পুঁজি থাকবে না। এ পরিস্থিতিতে হয় এ দামে বিক্রি করতে হবে, আর না হয় আলু বিক্রি করা বাদ দিতে হবে। অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আলুর ওপর চাপ বেড়েছে। আর এ সুযোগে আলুর মজুদদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদেরকে হবিগঞ্জ থেকে আলু আনতে হয়ে সেখানেই আলুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে আলু কিনে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ ব্যপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিনের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি এরপরেও আলু ব্যাবসায়ীদের অসহযোগীতার কারনে আলুর দাম রিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
 

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ