৮:৫৭ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুরে দুই গ্রামের সং'ঘ'র্ষে অর্ধশতাধিক আ'হ'ত!
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই গ্রামবাসীর সং'ঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহ'ত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরণ ও স্বজনশ্রী গ্রামবাসীর মধ্যে। ২০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদশর্ী একাধিক সূত্র জানান, রাণীগঞ্জ থেকে স্বজনশ্রী ও বাউধরণ হয়ে একটি গ্রামীণ পাকা রাস্তা গোপরাপুর বাজার পর্যন্ত চলে গেছে। এ রাস্তায় চলাচলকারী ইজিবাইকসহ ছোট গাড়ির যাত্রী উঠানামা নিয়ে স্বজনশ্রী ও বাউধরণ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই গ্রামের উত্তেজিত জনতা রণসাজে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে আবুল হাশেম, হবিব খান, সুজন মিয়া, আবু বকর, মুন্না মিয়া, জিলু মিয়া, আইত্য মিয়া, তামিম আহমদ, মুর্শিদ মিয়া, মধু মিয়া, দোহা মিয়া, মুরছালিন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, ফুলসাদ মিয়া, জমির উদ্দিন, ফাহিম মিয়া, হাবিবুর রহমান, সেজু মিয়া, রুমান মিয়া, তানভীর মিয়া, রাকিব আলী, ফুজায়েল মিয়া, লিটন মিয়া, আফছর উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট রাগিব রাবেয়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. বদরুদ্দোজা জানান, আমাদের এখানে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ২০ জন আহত রোগীদের সিলেট রাগিব রাবেয়া হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে আহত রোগীদের স্বজনেরা জানান।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশদল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুলসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে আহত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।