৭:১১ অপরাহ্ণ

তিতাসে শিশুকে হ.'ত্যা'র পর ম'র'দেহ গু.'ম: চাচির যা'ব'জ্জীবন, যুবকের মৃ.'ত্যু.'দণ্ড
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আলোচিত শিশু আরিয়ান হত্যা ও মরদেহ গুমের মামলায় চাঞ্চল্যকর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড (ফাঁসি) এবং নিহত শিশুর সৎচাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সাত বছরের শিশু আরিয়ান মায়ের সঙ্গে বাতাকান্দি বাজারে যায়।
বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর শিশুটির সন্ধানে পরিবার থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুমাঠের ঝোপ থেকে সায়মনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর নিহত শিশুর মা খোরশেদা আক্তার বাদী হয়ে শেফালী বেগম ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, শেফালী বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে বিল্লাল পাঠানকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। দীর্ঘ তদন্ত ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড, শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। পাশাপাশি মরদেহ গুমের অভিযোগে তাদেরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন বিচারক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইকরাম হোসেন বলেন, “সৎচাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে হত্যা করা হয়।” মামলার বাদী ও নিহত সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, “আমি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে রাষ্ট্রের কাছে আমার দাবি—আমার সন্তানের হত্যাকারীদের শাস্তি যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। এতে দেশের মানুষ সতর্ক হবে এবং এ ধরনের জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকবে।”