সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০ ২৫
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি::
১৩ আগস্ট ২০ ২৫
৩:৪৯ অপরাহ্ণ

বিচ্ছিন্ন দুই হাতের পর উদ্ধার দুই পায়ের ৪টুকরো
ফলোআপ: তিতাসে ট্রাক্টর চালককে হ'.ত্যা'র পর ৬ টু.'ক'রো করে ফেলে দেয় নদীতে

কুমিল্লার তিতাসের শাহবৃদ্ধি গ্রামের ট্রাক্টর চালক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৮) হত্যাকাণ্ডের ৪দিন পর খণ্ডিত দুই হাত উদ্ধারের দুইদিন পর দুই পায়ের ৪টুকরো বিচ্ছিন্ন অংশ পায় গ্রামবাসী। গত ১১আগস্ট সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পার্শবর্তী বালুয়াকান্দি পশ্চিম পাড়া মাইঠ্যা নদীতে স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা থেকে এ দেহাংশগুলো উদ্ধার করে।

এঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় পার্শবর্তী মজিদপুর মধ্যপাড়ার মজু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ১১আগস্ট রাতে বালুয়াকান্দি গ্রামবাসীর নিকট থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ভাসমান ব্যাগ থেকে দু'টি পায়ের খণ্ডিত চারটি টুকরো উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট ৬ টুকরো দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এখনো মাথা ও দেহ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৬আগস্ট রাত ১০টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহাবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূইয়ার ছেলে ট্রাক্টর চালক নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে ফোনে ডেকে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে জানা যায়। তবে তারা স্বামী-স্ত্রী এমন নৃশংস কাজ করতে পারবে না বলে দাবী এলাকাবাসীর।

এ ঘটনায় অদৃশ্য কোন হাত ও রহস্য রয়েছে বলেও তারা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দাবী করেন। নিহতের বাবা হানিফ ভূইয়া থানায় জিডি করার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় স্মৃতি আক্তার ও মোহাম্মদ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নজরুলের দুই হাতের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায় গ্রামের উত্তর পাশের তিতাস নদীতে। হত্যার ঘটনা প্রকাশের পর মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিষয়টি "পরকিয়া জনিত ক্ষোভ থেকে হত্যা" এমন চাউর উঠলেও ধৃত স্বামী-স্ত্রী'র বক্তব্য ও পুলিশের বিবৃতিতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতের পরিবারের দাবি ভিন্নতা ও রহস্য আরও বাড়তে থাকে।

নিহতের বাবা হানিফ দাবি করেন, তার ছেলে মোটেও পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলো না, পুর্বে কোন অভিযোগও উঠেনি। হত্যার পর এগুলো একটা মহলের ইন্ধন চলছে। তিনি দাবি করেন, এ হত্যাকাণ্ডের আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। গভীর তদন্তের মাধ্যমে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি তার। এ বিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মো. শহীদ উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, নজরুল হত্যায় জড়িত স্বামী-স্ত্রী দুজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি অনুযায়ী আমরা অভিযান ও তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছি। কেউ জড়িত থাকলে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এ পর্যন্ত পৃথক স্থান থেকে দুইটি ব্যাগে হাত ও পায়ের ৬টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ