বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০ ২৪
ডেস্ক নিউজ::
২৭ জানুয়ারী ২০ ২২
৮:২৯ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে হাওড় উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির স্মারকলিপি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সিলেট হাওড় উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এর কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট হাওড় উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি নেতৃবৃন্দ। স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্ঠা এডভোকেট শামসুল ইসলাম, সভাপতি সুরঞ্জিত বর্মন, সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক খালেদ মিয়া, সদস্য শেখ আক্তারুজ্জামান, আখলাকুর রহমান, আবাব মিয়া, নুর পাশা।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নেত্রকোণা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য হাওড়, বিল, নদ-নদী রয়েছে। কিন্তু এগুলো সংরক্ষণের অভাবে ঐ অঞ্চলের কৃষকেরা বার বার বিভিন্ন কারণে ফলস হারিয়ে অসহায়। কৃষকরা আজ সর্বস্ব হারিয়ে উদদ্বিগ্ন ও সর্বস্বান্ত। হাওর বাঁচলে কৃষক বাঁচবে, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। দেশের শতকরা ৫০ভাগ মানুষ যেখানে কৃষক সেখানে কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচানো সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওড়ের উন্নয়নে এবং কৃষকদের সার্বিক স্বার্থে হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছিলেন। হাওড় উন্নয়ন বোড গঠন করায় কৃষকেরা বিগত দিনে উপকৃত হয়েছিল। জাতির জনকের কন্যা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের ধারাবাহিকতায় আপনিও হাওড় উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সেই মহাপরিকল্পনা বান্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে। তা আজও হাওড়বাসী এবং কৃষকরা অবহিত নয়। বর্তমানে কৃষকদের অবস্থা দিনের পর দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

দাবিসমূহগুলো হলো: হাওড় উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গঠন, ছোট-ছোট ডোবা নালা, খাল-বিল, ইজারা প্রদান বন্ধের মাধ্যমে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি করে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রসিদ্ধ মৎস্য এলাকা হিসেবে হাওড় অঞ্চলকে প্রতিষ্ঠিত করা, চলতি কৃষি মৌসুমে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান, স্বল্পমূলে সার বিজ কীটনাশক ঔষধ প্রদান, প্রতি মন ধানের মূল্য ১২০০টাকা নির্ধারণ, ২০ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে হাওড় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধান চাষের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে কৃষক যাতে ফসল ঘরে তুলতে পারে সেই ধরনের ধান বীজ আবিস্কার করে সে ব্যাপারে কার্যকরী উদ্ধোগ গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ভতুর্কি প্রদান, নদী-নালা খাল-বিল খননের মাধ্যমে হাওরকে পূর্বের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে হবে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ