৫:৫৪ অপরাহ্ণ

সিলেট নগরীর সুলভ বস্ত্রালয় নিয়ে মোশতাকের বক্তব্য মি'থ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
সিলেট নগরের স্বনামধন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সুলভ বস্ত্রালয় ও শুকরিয়া মার্কেট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে এম এ মোশতাকের দেওয়া বক্তব্য মি'থ্যা, বা'নো'য়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন উদয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সজিবুর রহমান রুবেল।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ও আমার ভাই শহীদুর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে জিন্দাবাজারস্থ সুলভ বস্ত্রালয় নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তাদের সম্পত্তি দ'খ'লের অভি'যোগ করেছেন খালাতো ভাই এম এ মোশতাক। বাস্তবতা হলো- এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে মোশতাক আহমেদ ও মেহবুব বাবু’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে আমাদের ব্যবসায়িক বা পরিচালনায় কোনা সম্পৃক্ততা নেই। মোশতাক ও তার পরিবারকে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল বলেন, তাদের পৈতৃক সম্পত্তির ভোগদখলে তারাই রয়েছেন।
তাদের মা এখনও জীবিত। যদি সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ থেকে থাকে, তিনি আদালতের মাধ্যমে বাটোয়ারা দাবি করতে পারেন। তা না করে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। ‘সুলভ সার্ভিসিং সেন্টার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগও অস্বীকার করে সজিবুর রহমান রুবেল বলেন, এটি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা আমি নিজে পরিচালনা করি। যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। মামলায় দিয়ে হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোতোয়াফল থানায় তিনি ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। আমার বাবা এই মামলা দায়ের করেছিলেন। সব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছেন। দুই ভাইয়ের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি জানিয়ে রুবেল বলেন, উল্টো এম এ মোশতাক আমাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন। শুকরিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ক্রয় করা দোকান নিয়ে করা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এই দোকান ক্রয়ে আমাদের পারিবারিক অবদান থাকলেও আমরা কখনোই সেই সম্পদের মালিকানা দাবি করিনি। এমনকি তাদের ব্যবসার জন্য ২০১০ সালে আমার এবং আমার ভাই শহীদুর রহমান জুয়েলের পৈত্রিক সম্পত্তি ন্যাশনাল ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ১০ লাখ টাকার সিসি ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ব্যাংকের কিস্তি তারা পরিশোধ না করে আমাদেরকে বিপদে ফেলেছেন। আমরা সেই কিস্তি নিজেদের অর্থে পরিশোধ করছি এবং এখনও করে যাচ্ছি। সজিবুর রহমান রুবেল তিনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে মানহানির অপচেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানান।