শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০ ২৪
ডেস্ক নিউজ::
৩ আগস্ট ২০ ২২
১১:৫১ অপরাহ্ণ

বালাগঞ্জে চোখ উপড়ে ফেলা ঘটনার প্রধান আসামী এহিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ

বালাগঞ্জের লোমহর্ষক চোখ উপড়ে ফেলা ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামী আবদুল কুদ্দুস ওরফে এহিয়াকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দুহাতে প্রচুর ব্যান্ডেজ বেধে নিজেকে অসুস্থ দেখিয়ে গত ৯ মে এহিয়া সিলেটের বালাগঞ্জ আমলি আদালত থেকে জামিন নেয়।

পরবর্তীতে ৮জুন আদালতে হাজির হবার কথা থাকলেও এহিয়া আদালতে হাজির না হয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক মাস পালিয়ে থাকার পর আজ ৩ আগস্ট আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলা নং- বালাগঞ্জ জিআর-৪১/২২ইং গত ৩০ এপ্রিল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশুক ও এহিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজগিপুর গ্রামে নিজের বাড়ির পুকুরপারে কৃষিজীবী আবদুল হামিদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকেই উপড়ে নিয়ে যায় হামিদের ডান চোখ।

বাম চোখটি চোখের কোটর থেকে বের করলেও বাড়ির ভেতর থেকে তার মা, সহোদর, স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজন ছুটে এলে বাম চোখটি নিতে পারেনি। কোটর থেকে বের হওয়া এক চোখ নিয়ে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সিলেটে তার চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে আইসিইউ এম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকার জাতীয় চক্ষু গবেষনা ইন্সটিটিউটে কয়েক মাস চিকিৎসা চললেও চিকিৎসকারা জানিয়েছেন ডান চোখ নিয়ে যাওয়ায় এবং বাম চোখ বের করে কচলে ফেলার ফলে আবদুল হামিদের দু চোখে দেখার আর কোন সম্ভাবনা নেই।

তাই চিকিৎসকরা তার দুচোখের পাতা সেলাই করে দিয়েছেন। আহত আবদুল হামিদ মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তার তিনটি অবুঝ সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় আবদুল হামিদের সহোদর আব্দুর রকিব বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন- বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজগিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক খাজুরের ছেলে আসুক মিয়া, জামাল মিয়া, হায়দর রাজা এমরান, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুস সত্তার লেবু, আব্দুল কুদ্দুস এহিয়া, নুনু মিয়ার ছেলে নিরু মিয়া, মৃত রূপা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া, মৃত পঙ্কী মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ