৬:৩০ অপরাহ্ণ

ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া ও হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সিলেট চ্যাপ্টারের উদ্যোগে
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের হিমোফিলিয়া চিকিৎসা ও হিমোফিলিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান
সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনিরের কাছে হিমোফিলিয়া চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া (ডব্লিউএফএইচ) কর্তৃক প্রদত্ত ২৬৭ ভায়াল জীবন রক্ষাকারী ফ্যাক্টর এইট ইনজেকশন এবং হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এইচএসবি) সিলেট চ্যাপ্টার-এর পক্ষ থেকে ৫০টি প্লাজমা ডাবল ব্যাগ ও ২টি হুইলচেয়ার হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে এই চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন, মা-শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ জেনারেল প্র্যাক্টিশনার ডা. মো. ইশতিয়াক খান, হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি মাওলানা ইসমাইল আলী, আহমা আল আরিফ সিফাত কোষাধ্যক্ষ, আব্দুর রহিম, মনমোহন তালুকদার , মসুর আহমদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আজকের এই উদ্যোগ হিমোফিলিয়া রোগীদের জীবন বাঁচানোর এক অসাধারণ মানবিক প্রয়াস। হিমোফিলিয়া একটি জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ, যার চিকিৎসা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
এই ধরনের সহায়তা রোগীদের শুধু চিকিৎসা নয়, বেঁচে থাকার নতুন আশাও জোগাবে। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে এসে এ ধরনের মানবিক কাজে অংশ নেওয়া উচিত। এতে সমাজে সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পাবে।
তাঁরা বলেন, ফ্যাক্টর এইট ইনজেকশনসহ প্লাজমা ও হুইলচেয়ার প্রদানের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে মানবসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে, যাতে দেশের কোনো হিমোফিলিয়া রোগী আর চিকিৎসা সংকটে প্রাণ হারাতে না হয়