শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০ ২৪
জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ::
২২ মে ২০ ২২
৩:০ ৮ পূর্বাহ্ণ

বিভিন্ন স্থানে বাঁকা অবস্থায় ও হেলে পড়ে আছে খুঁটি ॥ দূর্ঘটনার আশংকা চলতি মাসে খুঁটি ভেঙ্গেছে ২৫টি ও তার ছিড়েছে ৪ শ’রও বেশি স্পটে
নবীগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ
নবীগঞ্জে বিদ্যুৎের খুঁটি নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নবীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বাকাঁভাবে ও হেলে পড়ে আছে বিদ্যুতের খুটি। এতে বড়সর দূর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। খুটিতে দূর্বল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় নানা আতংকে দিন পার করছেন বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনসাধারণ। অনুসন্ধানে জানা যায়- নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ বাইপাস রোড, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটির দীর্ঘ সারি। এগুলোর অধিকাংশ খুঁটিই বাকাঁভাবে ও হেলে পড়ে আছে, অনেক খুঁটিই আবার নড়বড়ে অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে/উপরে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আউশকান্দি-পারকূল বাদে উপজেলাজুড়ে বয়ে যাওয়া এই খুঁটিতে রয়েছে ৩৩ ও ১১ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি ভেঙ্গে বা তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি বলছে বিদ্যুৎ পরিবহন কাজ সম্পন্নের আগে কাজের সুবিধার্থে খুঁটিগুলো হালকা বাকাঁভাবেই থাকে। বিদ্যুৎ পরিবহন কাজ সম্পন্ন হলে তা পুরোপুরি সোজা করা হয়। এদিকে সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে পড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটি ভেঙ্গে পড়ার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি দিনব্যাপিও বিদ্যুৎহীন কাটাতে হয় নবীগঞ্জবাসীকে। গত ২১ এপ্রিল নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়- চলতি মাসে এ পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টিতে ২৫টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে ও ৭টি খুঁটি পূনঃস্থাপন করা হয়েছে এবং ৪ শ’রও বেশি স্পটে তাড় ছিড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটির তালিকা তৈরী করে টিকাদারকে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ খুটিগুলো পূনঃস্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের অধিকাংশ খুঁটিগুলোই সিমেন্টের ঢালাই করা। ভেঙ্গে যাওয়া একটি খুঁটি বিশ্লেষণ করে খুঁটিটিতে নামমাত্র রডের ব্যবহার ও বেশিরভাগই কয়েল তার ব্যবহার করতে দেখা যায়। এসব খুঁটি স্থাপন করেছে সরকারী প্রতিষ্ঠান (আরইবি)। খুঁটি স্থাপনে তাড়াহুড়ো এবং খামখেয়ালিপনা করায় হালকা ঝড়-তোফনেই খুঁটি ভেঙ্গে যায় বলে দাবী সচেতন মহলের। তাদের ভাষ্য এত বিশাল খুঁটিতে নামমাত্র রডের ব্যবহার করা হয়েছে, যে কারণে হালকা বাতাসেই খুঁটি ভেঙ্গে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিতে ভাল মানের রড ব্যবহার ও দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিগুলার তালিকা তৈরী করে দ্রুত তা মেরামতের দাবী জানান সচেতন মহল। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমির পুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, গত মার্চ মাসে একটি সড়ক দূর্ঘটনায় তার বাসার সামনে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যায়। পরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করে গেলেও ৭ দিনের মধ্যেই তা হেলে পড়ে যায়। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকি খুঁটি বসানোর সময় তাদেরকে সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এখন প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি আর তোফান হচ্ছে খুঁটিটি নিয়ে নানা আতংকে রয়েছি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম (পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন) ভবেস সরকার বলেন- বিদ্যুতের খুটি নির্মাণ ও খুঁটি স্থাপন আমাদের কাজ না। এটা আরইবির কাজ। শুধু লাইন রক্ষনাবেক্ষন আমাদের কাজ। ঝুঁকিপূর্ণ সব খুঁটি মেরামত করতে ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, খুঁটিগুলো পূনঃস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ