বুধবার, অক্টোবর ২২, ২০ ২৫
বিজ্ঞপ্তি
২২ অক্টোবর ২০ ২৫
৭:৩০ অপরাহ্ণ

খন্দকার সিপার আহমদের সংবাদ সম্মেলন
নগরের সড়ক ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার উদ্যোগ ধরে রাখতে হবে

সিলেট নগরের সড়ক ও ফুটপাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ। তিনি বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরকে একটি পর্যটনবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত নগর গড়ার স্বপ্ন দেখছি।

এই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ‘কিপ সিলেট ক্লিন’ নামে আমরা একটা উদ্যোগও নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে যা তা অব্যাহত থাকেনি। আগামী নভেম্বরে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’ জয়লাভ করলে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমাদের স্বপ্নের সিলেট নগর হকার ও যানজটমুক্ত থাকবে, পর্যটনবান্ধব নগরে রূপ লাভ করবে। চেম্বার নির্বাচনের পর আমরা প্রশাসনের উদ্যোগকে টেকসই করতে সবধরনের সহযোগিতা করে যাব।

লিখিত বক্তব্যে চেম্বারের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমি ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে লায়ন্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থেকে সামাজিক কর্মকা- করে আসছি। আমাদের প্রিয় এই সিলেট নগরকে একটি পর্যটনবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও যানজটমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের প্রচেষ্টা সবসময়ই ছিল। আমরা চাই, এই সিলেট নগর একটি বসবাসযোগ্য আধুনিক নগর হয়ে উঠুক। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি অতি অল্পদিনের মধ্যে সিলেটকে যানজট ও হকারমুক্ত করতে প্রশাসনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

যেটা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং স্বস্তি বোধ করছি। কারণ আমি সিলেট চেম্বার অব সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি থাকাকালীন ২০১৮ সালে সিলেট চেম্বারের সদস্য ও সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা মিলে ‘কিপ সিলেট ক্লিন’ কর্মসূচি গ্রহণ করি। আমাদের লক্ষ্য ছিলÑ পূণ্যভূমি সিলেটকে প্রবাসী এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আগত পর্যটকদের কাছে একটি সুন্দর নগর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এই লক্ষ্যে সিলেটের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ, সিলেট চেম্বারের পরিচালকসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা এবং সচেতন নগরবাসীকে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নগরে র‌্যালি বের করা হয়।

বিশাল এই র‌্যালি সিলেটকে যানজটমুক্ত রাখতে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল। জেলা প্রশাসনের শক্ত অবস্থানে নগরে এখন শৃঙ্খলা ফিরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় আমরা দাবি করেছিলাম, যারা দোকানোর সামনে হকার বসাবে তাদের মূল দোকানের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। আমাদের এই উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সমর্থন ছিল। সেই সময়ের উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে খন্দকার সিপার আহমদ আরও বলেন, পুরো নগর হকারমুক্ত ও যানজটমুক্ত করার পাশাপাশি বিশেষ করে ‘চৌহাট্টা থেকে বন্দরবাজার পর্যন্ত একটি মডেল রোড’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য ছিল আমাদের। এই রাস্তাকে ‘মিনি লন্ডন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনায় প্রশাসন, সর্বস্তরের ব্যবসায়ী এবং নগরবাসী বিপুল সমর্থন জানান। পরবর্তীতে চেম্বারে তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই কার্যক্রম আর চলমান থাকেনি জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্যোগ অব্যাহত না থাকায় হকার ও ভাসমান বিক্রেতারা নগরের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে নেয়। এতে একটি যানজটের নগরে পরিণত হয় সিলেট। নগরে নির্বিঘেœ চলাচল করতে জনগণ অতীষ্ঠ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেটকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বিগত দিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে দেখছি। তাদের এই উদ্যোগ নগরবাসীর জন্য একটি কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য অনুপ্রেরণার অংশ হয়ে থাকবে। শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত এবং হকারমুক্ত করতে নবাগত জেলা প্রশাসক দেশের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর যে বাস্তব কার্যক্রম শুরু করেছেন সেজন্য খন্দকার সিপার আহমদ আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং পূর্ণ সমর্থন জানান। পরিচ্ছন্ন এবং বসবাসের উপযোগী নগর গঠনে প্রশাসনের এই উদ্যোগে নগরবাসী এবং ব্যবসায়ী সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নভেম্বরে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’ জয়লাভ করলে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি ও তাঁর কমিটি জোর প্রচেষ্টা চালাবো।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ