রবিবার, মে ৫, ২০ ২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০ ২৪
১:৪৬ অপরাহ্ণ

গাজায় ৪৪৭টি মসজিদ ধ্বংস: ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত

ইসরাইলি বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা কেবল হাজার হাজার মানুষের জীবনকেই লক্ষ্য করেনি, বরং প্রায় ৪৪৭টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।

ফিলিস্তিনের এই মসজিদগুলো শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নামাজের স্থানই ছিল না, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিখ্যাত ওমারি মসজিদে বোমাবর্ষণ করেছিল।

এটি মসজিদের প্রাচীনতম নির্মাণগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগের উৎস। তবে ইসরাইল নিজেদের রক্ষা করে বলেছে যে মসজিদগুলো হামাস যোদ্ধারা লুকানোর জন্য ব্যবহার করেছিল। এভাবে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে শুধুমাত্র হামাসকে ধ্বংস করার জন্য। তবে তাদের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

তাছাড়া বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন গির্জা সেন্ট পোরফিসরিয়াস চার্চসহ গাজায় আরো বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় ১০০ জন ইসলাম ধর্মপ্রচারক নিহত হয়েছেন। এমনকি অফিস ও কুরআনিক স্কুলও ধ্বংস করা হয়েছে।

গাজার ওয়াক্‌ফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, ভেঙ্গে যাওয়া মসজিদগুলো পুনঃনির্মাণ করতে প্রায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। মন্ত্রণালয় মসজিদ ও কবরস্থানের পবিত্রতা লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলি দখলদারিত্বের নিন্দা করেছে। গাজার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য তাদের সংগ্রামকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে গাজার ওয়াক্‌ফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সূত্র : দি ইসলামিক ইনফরমেশেন

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ