শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০ ২৪
তিতাস (কুমিল্লা)প্রতিনিধি::
১৩ মে ২০ ২২
১০ :৫৫ অপরাহ্ণ

হোমনায় শ্বশুর পরিবারের অত্যাচারে নববধূর মৃত্যুতে রহস্য

কুমিল্লার হোমনায় শ্বশুর পরিবারের অত্যাচার ও নির্যাতনের যন্ত্রণা সয়েই রহস্যজনক গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাদিয়া আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর জুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গেলো ৮মে রোববার সকালে উপজেলার ভংগারচর গ্রামের মোবারক হোসেনের ঘর থেকে এ নববধূর দেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার ওই গ্রামের মোবারক হোসেনের প্রবাসী ছেলে মো. ফারুক মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার শ্রীমদ্ধি চরের গাঁও গ্রামের শাহাবুদ্দীন এর মেয়ে।

পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পিতৃ পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করলে রাত সাড়ে আটটায় নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে নিহতের বাবা থানায় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।নিহতের পরিবারের দাবী সাদিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।ঘটনার পর নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,গত তিন মাস আগে ভংগারচর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে ফারুক মিয়ার (৩০) সাথে সাদিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ কোনো টাকা না দিলেও ১২০ জন লোক খাওয়ানো হয় এবং ৫০-৬০ হাজার টাকার ফার্নিচার ও ব্যবহারের জিনিসপত্র দিতে হয়। কিন্তু বিয়ের পর-পরই স্বামী, শ্বশুর-শাশুরী ও ননাসরা দামী ফার্নিচার এবং মোটা অংকের যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।এ নিয়ে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে শালিসও হয়। ঘটনার আগের দিন (৭মে শনিবার) শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননাসরা সাদিয়াকে মারধরের এক পর্যায়ে বাচার জন্য বাপের বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রাস্তায় চলে আসে।

সেখান থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে সাদিয়াকে।সকালে স্বামীর পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয় সাদিয়া আত্মহত্যা করেছে আর সাদিয়ার বাবা-মা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে খবর পায়।সরেজমিনে সাদিয়ার লাশ দেখে আত্মহত্যা বলে কেউ মন্তব্য করেনি।সাদিয়ার ঝুলন্ত লাশের পাশে খাটের উপড় দু'টি চেয়ার পরিকল্পিতভাবে সাঁজিয়ে রেখেছে।আর ভেতর থেকে ছোট্ট একটি ছিটিকিড়ি লাগিয়ে দরজাটা আটকানো রয়েছে।

আর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরই স্বামীর পরিবারের সবাই পলাতক। আর ঘটনার পরই ঘাতকদের পক্ষে সমাজের কিছু দালাল বিষয়টি ভিন্নরূপে প্রবাহিত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ বলছে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই,ঘরের ছিটকিড়ি ভিতর থেকে বন্ধ ছিলো।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত বলা যাবে না হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে হত্যা মামলা করতে হলে মেডিক্যাল রিপোর্টের পরে করতে পারবে বলেও সাফ জানানো হয়।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ