শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০ ২৪
এস এ ডিউক ভূঁইয়া, তিতাস(কুমিল্লা)::
১৮ এপ্রিল ২০ ২১
২:২২ পূর্বাহ্ণ

পরিবারের দাবি পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত হত্যা
তিতাসে নদী খননকালে ভ্যাকুর ধাক্কায় ফয়সাল নামের এক চালুকের মৃত্যু

কুমিল্লার তিতাসে নদী খননকালে ভ্যাকু মেশিনে ধাক্কায় ফয়সাল (২০) নামের এক ভ্যাকু চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।নিহত পরিবারের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।তাঁদের অভিযোগ তড়িঘড়ি করে বাড়ির পাশের রাস্তায় লাশ ফেলে ঘাঢাকা দিয়েছে ভ্যাকুর মালিক পক্ষ।ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল-৮টায় উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি বাজার সংলগ্ন তিতাস নদীতে।

নিহত চালক ফয়সাল দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সুরেরখাল গ্রামের খলিলের এক মাত্র ছেলে।খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে নিহত ফয়সালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপালের মর্গে প্রেরণ করেন।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,বেশ কিছুদিন থেকে কুমিল্লার তিতাস নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদী খননের কাজ পেয়েছেন লুনা ট্রের্ডাস।আর সেই নদী খনন কাজের ভ্যাকু মেশিনের সহকারী ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন নিহত ফয়সাল।

প্রতি দিনের মত আজ শুক্রবার সকালেও সে কাজ করতে আসে অহিদ ড্রাইভারের সাথে।অহিদ ড্রাইভার জানান, আমার ভ্যাকু মেশিন ছিল ফয়সালের চালিত ভ্যাকু মেশিনের আগে।কিন্তু আমি খেয়াল করিনি ফয়সালের ভ্যাকু মেশিনটি আমার মেশিনের পিছে।

এমনতাবস্থায় আমার ভ্যাকু মেশিনটি মাটিতে পিছলে গিয়ে ফয়সালের ভ্যাকুর উপড়ে পড়ে এসময় ফয়সাল মারাত্বকভাবে আহত হয়।এব্যাপারে নিহত ফয়সালের বাবা খলিল জানান, আমার একমাত্র ছেলেকে তারা পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করেছে,কারণ তাদের সাথে ফয়সালের ঝগড়া হয়েছিল এরই কারণে মালিক পক্ষ তাদের দু'জনকেই কাজ থেকে বিদায় করে দিয়েছিল।তারপর সাব- কনট্রাকটর মাহফুজ ও তার শ্যামক জসিম ও সাদ্দাম তাকে পুনরায় ফুসলিয়ে কাজে নিয়ে গিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।অপরদিকে নিহত ফয়সালের মা জানান, আমার ছেলের সাথে থাকা দুইটি মোবাইলসহ তার সাথে থাকা টাকা-পয়সা ও কাপড়চোপড় নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যাই করেছে। তা না হলে তড়িঘড়ি করে লাশ বাড়ির পাশে ফেলে যাবে কেন? তাছাড়া তাদেরও কেউ আমাদের কাছে আসেনি এবং আমাদেরও খোঁজ-খবরও নেয়নি।আমার ছেলে আহত হলো, অথচ তারা আমাদেরকে জানালো না কেন।

আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এব্যাপারে লুণা ট্রের্ডাস এর মালিক ফারুক হোসেনকে ফোন করে পাওয়া না যাওয়ায় সাব কনট্রাক্টর মাহফুজকে ফোন করা হলে তিনি জানান,আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না,তবে তার পরিবারের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেছি।লাশ নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ