রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০ ২৪
ডেস্ক নিউজ ::
২৭ জুন ২০ ২১
৭:২৪ অপরাহ্ণ

সালিশে বিয়ে করা তরুণীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন সেই চেয়ারম্যান!

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো এক প্রেমিক ঘটনাচক্রে ফিরে পেলো তাঁর প্রেমিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নে। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রেমিক-প্রেমিকার নাম রমজান ও নাজনীন আক্তার নছিমন।

তাঁদের বাড়ী কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামে। জানা গেছে, রমজান ও নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক অভিভাবকরা মেনে না নেয়ায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে বসেন কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। এ সময়ে নছিমনকে চেয়ারম্যানের পছন্দ হওয়ায় অভিভাবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। অভিভাবক সম্মতি দিলে নছিমনকে বিয়ে করেন ওই চেয়ারম্যান। এটা তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। দুই সন্তানের জনক তিনি।

এদিকে প্রেমিকা নছিমনকে না পেয়ে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে প্রেমিক রমজান। পরে চৌকিদার মো. ফিরোজ আলম তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মোটামুটি ভাবে সুস্থ্য হয়ে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের কাছে গিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ফিরিয়ে দিতে বলেন রমজান।

এ সময়ে শাহীন হাওলাদার তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে যেতে রাজি আছে কিনা জানতে চাইলে স্ত্রী নছিমন সম্মতি প্রকাশ করেন। অপরদিকে শাহিন হাওলাদারের ছেলে তুষার এবং অন্যান্য আত্মীয় স্বজন ও প্রশাসনের চাপে শাহিন হাওলাদার তাকে তার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে রাজি হন। পরে শনিবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে কাজীকে ডাকা হয়। এরপর তার কাছ থেকে তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার নিজেই তাকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। অভিভাবকরা আবার নছিমনকে পাগল প্রেমিক রমজানের হাতে তুলে দেন। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও নছিমন নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ