৬:৩০ অপরাহ্ণ
ইসকন সদস্যদের বাধা, চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানিসহ সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৩দিন থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ভারত অংশে প্রবেশ করতে পারেনি। ভারতের কৈলাশহরে প্রায় ৪০-৫০ জনের ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের তাদের অংশে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি ব্যবসায়ী সোহেল রানা চৌধুরী। তিনি জানান, হঠাৎ করে গত ২দিন থেকে ভারতের দিকে ইসকন সদস্যরা আন্দোলন করে চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। সংগঠনের পতাকা হাতে তারা বিক্ষোভ করেন।
এতে বাংলাদেশ থেকে মালবাহী কোন গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। একইসঙ্গে ভারত থেকেও কোনো মালামাল আসছে না।’ আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কয়েক কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়। ভারতে মাছসহ অনেক কাঁচাপণ্য পাঠানো হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গত ২দিনে ভারতে রপ্তানীর জন্য ৫টি মাছ বোঝাই গাড়ি ও ১টি প্রাণ কোম্পানির ট্রাক দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে ফেরত যেতে হয়েছে।
চাতলাপুর ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই দীপক জানান, মালামাল আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকলেও উভয় দেশের যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এব্যাপারে কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, স্থল শুল্ক স্টেশনের ভারত অংশে ইসকন সদস্যরা বিক্ষোভ করছে। আমাদের বাংলাদেশ অংশে কোনো সমস্যা নেই।
ব্যবসায়ীরা যে পণ্যগুলো রপ্তানী করছে আমরা নিয়ম মোতাবেক কার্যক্রম শেষ করে সেগুলো ভারতের অংশে পাঠিয়েছি কিন্তু সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ইসকনের আন্দোলন দেখিয়ে পণ্যগুলো গ্রহণ না করে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানীকৃত মাছগুলো বরফ গলে যাওয়ায় সেগুলোতে পচন ধরেছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।