১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

ওসমানীনগরে অপহৃত কিশোরী দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি
আসামিদের আগাম জামিনে উদ্বিগ্ন পরিবার
ওসমানীনগর উপজেলার গ্রামতলা দাসপাড়া থেকে গত ২৫ এপ্রিল নিখোঁজ হয় হাজী ওয়ারিস উল্লাহ ও পিয়ারা বেগম দম্পতির স্কুলপড়–য়া কন্যা মোহাম্মদা বেগম। প্রায় দুইমাস অতিবাহিত হলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বরং, অপহরণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।
এতে উদ্বিগ্ন মোহাম্মদার পরিবার। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মোহাম্মদা বেগমের মা পিয়ারা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই মাসেও আমার মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এর মধ্যে, অপহরণের সঙ্গে জড়িতরা আগাম জামিন পাওয়ায় আমরা শঙ্কায় আছি। আসামিরা আমার মেয়ের জানমাল ও ইজ্জতের ক্ষতি করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদা গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
নিখোঁজের পর তার সন্ধানে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেছি। কোথাও কোনো খবর না পেয়ে ২৬ এপ্রিল ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর আমরা জানতে পারি একই গ্রামের তালিব উদ্দিনের পুত্র নাসির হোসেন ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমার মেয়েকে হবিগঞ্জের একটি এলাকায় তাদের মামার বাড়িতে আটকে রাখে। পুলিশ অভিযান শুরু করলে সেখান থেকেও তাকে নিয়ে তারা সটকে পড়ে। এমতাবস্থায় পুলিশ আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করে। মামলার খবর পেয়ে অপরাধীরা গা ডাকা দেয়।’ পিয়ারা বেগম বলেন, ‘আসামিরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছে।
আমার মেয়ে উদ্ধার কিংবা সন্ধান না পাওয়ার আগেই তাদের আগাম জামিনের খবর আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’ নিজের মেয়ের অবস্থান, নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উৎকণ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ব্রিটিশ সিটিজেন থাকার কারণে বিষয়টি আমরা ব্রিটিশ হাইকমিশনকেও অবগত করেছি।
আসামিরা বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সব বিভাগকে বিভ্রান্ত করছে। আমার মেয়ে উদ্ধার হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’ তিনি পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে তার মেয়ে উদ্ধার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।