বুধবার, ডিসেম্বর ৬, ২০ ২৩
শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা::
২৫ মে ২০ ২৩
৬:১৫ অপরাহ্ণ

অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে
দক্ষিণ সুরমায় বোরো ধানে বাম্পার ফলন

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই উপজেলায় উচুঁ স্থান থাকায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওরে ১৬৬০ হেক্টর জমিতে ও নন হাওরে ৩৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরোধান সহ ৫৩২৯ হেক্টর জমিতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধারনা করা হয়েছে।

যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বাম্পার ফলন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের কুশিয়ারার তীরবর্তি হাওর এলাকা সহ সবকয়টি হাওর ও ননহাওর ছাপড়া বিল, বুরাইয়া হাওর, চাউনিয়া বিলসহ হাওরে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় কৃষকরা এ বছর উচ্চফলনশীল জাতের বিরি-৮৮, বিরি-৮৯ ও বিরি-৯২, বিরি-১০০, বিরি-২৫ বোরো ধানের চাষ করেছেন। প্রয়োজনুযায়ী পরিচর্চা করায় ফলনও পেয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমিতে বর্তমানে ২৮ ও ২৯ বিরি ধানে রোগবালাইয়ের জন্য এ বছর চাষ হয়নি। বিগত বছরের বন্যায় সবকটি হাওরে ও নন হাওরে পানি থাকায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রার অধিক ফলন হয়েছে। মূলত বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচমাসের মধ্যে উচ্চফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে। এছাড়াও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ধানের পাশাপাশি কৃষকরা বিভিন্ন প্রজাতির সবজি, গম ও ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাজিব হোসাইন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের প্রতি আন্তরিক।

সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ করা হয়েছে। হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে খাল, নালা খনন করে চাষের আওতায় আনা হবে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ