৭:৫৪ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুরে পলো বাওয়া উৎসবে সৌখিন জনতার ঢল
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসবে সৌখিন শিকারি জনতার ঢল নেমেছে। একই সঙ্গে পলো বাওয়া উৎসব দেখতে বিলপারে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরের হেমন্ত মৌসুমে হাওর বেষ্টিত জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও নদীতে পলো বাওয়া উৎসব হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারো উপজেলার বিভিন্ন বিলে পলো বাওয়া উৎসব চলছে।
এরই অংশ হিসেবে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের হাপাতিয়া হাওরের বড় পাতারি ও ছোট পাতারি বিলে পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে অংশ নিতে সকাল থেকে স্থানীয় বাউরকাপন, রতিয়ারপাড়া, শাসনহবি, দুর্গাপুর ও বাগনারাইন সহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক শতাধিক সৌখিন শিকারি জনতা পলো ও কোনাজাল নিয়ে বিলপারে সমবেত হন। পরে সবাই এক সাথে সারিবদ্ধভাবে পানিতে নামেন মাছ ধরতে।
এ সময় মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমতো প্রগিযোগিতা হয়। এতে সবাই কমবেশি মাছ পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন। তখন পলো বাওয়া উৎসব দেখতে বিলপারে ভিড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা। পলো বাওয়া উৎসব দেখতে আসা উৎসুক জনতাদের মধ্যে স্থানীয় মিরপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজাদ খান জানান, পলো বাওয়া উৎসব হচ্ছে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।
যদিও কালের পরিক্রমায় খাল-বিল ও নদীগুলো প্রায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় আগের মতো পলো বাওয়া উৎসব এখন তেমন একটা দেখা যায় না। পাওয়া যায় না আগের মতো মাছ। তবুও প্রতি বছর উপজেলাজুড়ে কমবেশি পলো বাওয়া উৎসব হয়। শুধু আগামী প্রজন্মের কাছে চিরচেনা গ্রাম বাংলার রূপ ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য।
এতে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। ফলে এ পলো বাওয়া উৎসবে প্রবীণ-নবীন সহ কয়েক শতাধিক সৌখিন শিকারি জনতা অংশ গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, পলো বাওয়া উৎসবটি দেখতে বিলপারে শিশু সহ সব বয়সী অসংখ্য উৎসুক জনতার ভিড় ছিল। এভাবেই যুগযুগ ধরে গ্রাম বাংলার সকল ঐতিহ্যকে লালন করে আসছেন মানুষজন। যা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার আয়োজনকারীরা।