৫:৪৩ অপরাহ্ণ
ধর্মপাশায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় মেয়েকে বিয়ের পিরিতে বসালেন মা-বাবা
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার একটি গ্রামে এক কিশোরী (১৬) বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের তৎপরতায় মঙ্গলবার (২৬নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি গ্রামের ওই কিশোরীর (১৬) সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা উপজেলার এক যুবকের (২৫) সঙ্গে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা আগামি বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) দুপুরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার (২৬নভেম্বর) বেলা একটার দিকে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত উপজেলা শিশু ফোরাম নামের একটি সংগঠনের একজন সদস্য বাল্য বিবাহের আয়োজনের খবরটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনকে মোবাইলে জানান। পরে ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজ নিয়ে এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানকে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (২৬নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে কনের বাড়িতে যান।
তিনি সেখানে গিয়ে বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পান। এ সময় ওই কিশোরীর বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই কিশোরীর প্রতিবেশী ও আত্বীয় স্বজনদেরকে ডেকে এনে বাল্যবিবাহের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের বিবাহের স্বীকৃতি নেই, এমনটি বুঝিয়ে বলার পর কিশোরীর চাচা ১৮ বছরের আগে তার ভাতিজিকে বিবাহ দেবেন না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে এই বাল্যবিবাহের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করেছি। বাল্যবিবাহরোধে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে।