১০ :৩১ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জে শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানোয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ^র মডেল ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শুয়াইবুর রহমানকে জোর করে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে এবং মাদ্রসার অধ্যক্ষকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা।
ওই অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার সকাল থেকে ভাদেশ^র মডেল ফাজিল মাদ্রাসার সামনে প্রায়ই ৪ ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মাদ্রসার বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ওই অধ্যক্ষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকার পরেও এমন ঘটনা ঘটার নেপথ্যে একটি ইসলামী দলের নেতাকর্মীর নাম এখন অভিভাবকদের মুখে মুখে। তারা মনে করছেন শিক্ষাগুরুদের মানহানি ও মানসিক চাপে রাখছে।
আমরা এ অবস্থার পরিত্রাণ চাই। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমাদের অধ্যক্ষ স্যার একজন ভালো মানুষ। রোববার হঠাৎ একদল বহিরাগত নিজেদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পরিচয়ে অবরুদ্ধ করে মাদ্রসার অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে জোর করে মাদ্রসার অধ্যক্ষকের কাছে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর নেন।
পরে তারা সেই পদত্যাগপত্র নিয়ে জমা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। আমরা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়কে স্বপদে বহালে থাকার জন্য আন্দোলন করছি। এমতাবস্থায় আমাদের ৪ জন সহপাঠি সহ কয়েকজন ছাত্রীকে আহত করেছে তারা। আমরা এর বিচার চাই। লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান বলেন, আমি উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষনিক ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করি।
এ কমিটি নিয়ে মাদ্রাসা কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরামর্শে উভয় পক্ষ তাদের কর্মসূচী স্থগিত করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম রব্বানী মজুমদার বলেন, জোর করে কাহারো পদত্যাগ করালে তা অপরাধ।
সে পদত্যাগ পত্র গ্রহণযোগ্য নয়। আগামীকাল থেকে যথারীতি মাদ্রাসার শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী জোর করে মাদ্রসার অধ্যক্ষকের কাছে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি তা গ্রহণ করি নাই। তাছাড়া কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।