মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০ , ২০ ২৪
ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
৩০ এপ্রিল ২০ ২৪
১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

ওসমানীনগরে দোকান কর্মচারীকে অপহরন ও হত্যা চেষ্ঠার মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

সিলেটের ওসমানীনগরে রাতের আধাঁরে দোকান কর্মচারীকে অপহরন ও হত্যা চেষ্ঠার ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও নিয়মিত মামলা হিসাবে পুলিশ তা রুজু করছে না।

এমনকি অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে নির্যাতিত পরিবারকে নানভাবে হুমকি দিয়ে বেড়ালেও থানা পুলিশ সেটিও আমলে না নিয়ে উল্টো অভিযুক্তদের পক্ষাবলম্ভন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আহত দোকান কর্মচারী সাইখুল ইসলামের স্ত্রী বুশরা আক্তার জানিয়েছেন,আমিরুল তার সহযোগিদের নিয়ে আমার স্বামি সাইখুল ইসলামকে অপহরনকে হত্যার চেষ্ঠা চালিয়েছিল।

খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে স্বামির চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপশি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে আমিরুল হকের পক্ষ অবলম্বন করে যাচ্ছে।

পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে থানা পুলিশ আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে যাচ্ছে।পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি নিয়ে একাধিকার থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলেও পুলিশ তাকে তুচ্ছতাছিল্য করে থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

বুশরা আরও জানান,এসব বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকেও তুলে নিয়ে সম্মানহানিসহ প্রানে হত্যা করার বিষয়ে থানা পুলিশের সামনে প্রভাবশালী আমিরুলহক এমন হুমকি দিয়ে গেলেও পুলিশ কোন বিষয়ই আমলে নিচ্ছে না।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আমিরুলহকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে অপর প্রান্ত থেকে ফোনের লাইন কেটে দেন।

পরবর্তীতে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও আমিরুল হকের ব্যবহৃত মোবইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সার্বিক বিষয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন,দয়ামীর বাজারে দোকান কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগটি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এসময় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগগুলো সত্য নয়। সত্যের পক্ষে পুলিশ সবসময় আন্তরিক। আমরা চেষ্ঠা করছি ঘটনার মূল রহস্য বের করতে আর আহত সাইখুলের স্ত্রী বুশরা চাচ্ছেন চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশকে দিয়ে আমিরুলহককে গ্রেফতার করিয়ে নিজেদের পারিবারিক স্বার্থ হাছিল করতে।

এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত: দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার নুরপুর গ্রামের আব্দুল অদুদের পুত্র সাইখুল ইসলামের সাথে তার চাচা আমিরুলহকের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।

প্রভাবশালী আমিরুলহকের ভয়ে এক পর্যায়ে সাইখুল তার পৈত্তিক বসত ভিটা ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে সুনামগন্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের তার মামা তরাজ আলীর বাড়িতে বসবাস করে দয়ামীর বাজারের ফুলকুড়িঁ সুইটস এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে তার কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে আসছিলেন।

গত ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দয়ামীর বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জামে মসজিদের এলাকায় একটি কালো রংয়ের নোহাগাড়ি তার গতিরোধ করে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই মুখোশধারি ৪/৫জন লোক গাড়ি থেকে নেমে তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলার চেষ্টা চালায়।

এসময় শেরপুরগামী একটি লকাল বাসের যাত্রীরা চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে সজ্ঞাহীন অবস্থায় সাইখুল ইসলামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এসময় সাইখুলে পকেটে থাকা পরিচয় পত্রের মাধ্যমে তার কর্মস্থলের মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষমহন সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ব্যাক্তিরা।এ ঘটনায় গত ১৬ এপ্রিল আমিরুল হকসহ তার সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে সাইখুল ইসলামের স্ত্রী বুশরা আক্তার ওসমানীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও তা রুজু করেনি পুলিশ।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ