১০ :১৩ অপরাহ্ণ
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি)নিযুক্ত হলেন ছোহরাব হোসেন
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি) নিযুক্ত হলেন- কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহবাদ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃতিসন্তান এডভোকেট মো.সোহরাব হোসেন ভূঞা (মিঠু)।
তাঁকে এই পদে নিযুক্ত করায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা ইউনিটের সভাপতি বিজ্ঞ আইনজীবী জনাব কাইমুল হক রিংকু স্যারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এডভোকেট মো. ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা (মিঠু) ফতেহাবাদ ইউনিয়ন থেকে সর্বপ্রথম এসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি)।
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলাস্থ ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের কৃতিসন্তান ঢাকা ও কুমিল্লা বার এর বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট মো. ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা(মিঠু) সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন থেকে এডভোকেট মো. ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা(মিঠু) সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে সর্ব প্রথম নিয়োগ পেয়েছেন বিধায় অত্র এলাকার লোকজন গর্ব বোধ করছেন।এলাকায় এই বিষয়টি নিয়ে ব্যপক আলোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এডভোকেট মো. ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা(মিঠু) লক্ষিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেন। খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম মীর হোসেন ভূঁঞার প্রথম সন্তান।এলাকায় একজন মানবিক এডভোকেট হিসাবে এডভোকেট মো.ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা(মিঠু) সবার আস্থালাভ করেছেন। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি সম্পৃক্ত। শিক্ষা জীবনেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।তিনি মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে মার্কেটিং বিষয় নিয়ে মাস্টার্স অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন(এমবিএ) ও মাস্টার্স অব ল(এলএলএম) অর্থাৎ ডাবল এম এ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। অত্র এলাকায় এটাও অত্যন্ত বিরল দৃষ্টান্ত। শিক্ষা জীবনেই তিনি একজন সামাজিক গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে থাকেন। এলাকার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী দেবিদ্বার এস এ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া ও ব্যায়ামাগার সম্পাদক ও ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষে কলেজ সাহিত্যপত্র ও পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন। শিক্ষা জীবনে তিনি দেবিদ্বার উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসাবে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।কর্মজীবনেও তিনি সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। দেশের সুনামধন্য কর্পোরেট শিল্প প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছরের কর্মজীবন অতিবাহিত করে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। যমুনা গ্রুপে ১৯৯৯ সালে তিনি চাকুরী জীবন শুরু করে একে একে লালবাগ ক্যামিক্যাল, গ্লোব সফট ড্রিংকস, তালুকদার গ্রুপ ও সর্বশেষ প্যারাডাইস কেবলস কোম্পানির ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর চাকুরী জীবনের ইতি টেনে তিনি ২০১২ সাল থেকে আইনপেশায় একজন আইনজীবী হিসাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা বার, ঢাকা টেক্সেস বার ও কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসাবে আইন চর্চার সাথে যুক্ত আছেন।দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় তিনি কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এই সময় তিনি প্রতিটি এলাকায় কুমিল্লা ও দেবিদ্বার এর জনসাধারণকে সংগঠিত করতে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় চট্টগ্রামস্থ দেবিদ্বার সমিতির আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন, সিলেটে কর্মরত অবস্থায় তিনি সিলেটস্থ দেবিদ্বার উপজেলা কল্যাণ সমিতি ও সিলেটস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা সমিতির আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন। ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় তিনি ঢাকাস্থ দেবিদ্বার উপজেলা সমিতির আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) এর দেবিদ্বার উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য ও ফতেহাবাদ ইউনিয়ন(পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা ইউনিট এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন(বিএইচআরএফ) এর কুমিল্লা ইউনিট এর সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।