সোমবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০ ২৪
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি::
৫ আগস্ট ২০ ২৪
১২:০ ৫ পূর্বাহ্ণ

পুলিশ-বিজিবিও গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সং.ঘ.র্ষ নি.হ.ত ৬, আহত শতাধিক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’ ঘিরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে তিন যুবকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার তাজ উদ্দিন (৪৩), ঢাকাদক্ষিণ ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী নিশ্চিন্ত গ্রামের বাসিন্দা কয়ছর আহমদের ছেলে নজমুল ইসলাম (২৪) ও আমুড়া ইউনয়নের শিলঘাটের বাসিন্দা মৃত কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (১৮), গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোষগাও এলাকার মুরারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন(২৩), ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বায়গড় লেছুবাগান গ্রামের মৃত ছুরাই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (১৮) ও দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩)। মৃতদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. সুদর্শন সেন বলেন, নিহতদের মধ্যে তাজ ও নজমুলের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

তাদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিওকল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

তাদের সরিয়ে দিতে চায় পুলিশ সাথে ছিল বিজিবিও। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে এসময় এলাকাবাসীও সংঘর্ষে জড়িত হন।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী পুলিশ-বিজিবির দিকে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ-বিজিবিও গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

তবে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পরে তারা পিছু হটে ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসার পর পুলিশ ও বিজিবি উপস্থিতিতে আবারোও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় পুলিশ-বিজিবিও গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে এসময় আহত হন আরোও অনেক। এ সময় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে তাজ উদ্দিন ও সানি আহমদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে তাজ উদ্দিনের লাশ নিয়ে পৌরশহরে এসে ধারাবহর এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌরশহর ও ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আমিনকে মুঠোপোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ