বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০ , ২০ ২৪
ডেস্ক নিউজ::
৮ মার্চ ২০ ২৩
১০ :০ ৮ অপরাহ্ণ

সিলেট এমসি কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১৫, থানায় মামলা দায়ের

সিলেট এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সংঘর্ষে মাসুদ আলম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। মাসুদ আলম এমসি কলেজের শিক্ষার্থী।

উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহতের খবর পাওয়া যায়। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে ১১টায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের দাবী ছাত্রদল ক্যাডারদের হামলায় নিহত হয়েছে এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আলম।

সিলেট ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় তিনি বলেন ছাত্রদল ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে বিশৃংখলা তৈরী করতে চাইলে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে ছাত্রদল ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্র সাথে নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাসুদ আলম কুপিয়ে হত্যা করে।

অন্যদিকে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান এর সাথে সংঘর্ষের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটা তাদের ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের গুরুপিং কোন্দল চলে আসছে।

আর তাদের ছাত্রলীগের দুই গুরুপের সংঘর্ষে তাদের কর্মী মাসুদ আলম খুন হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় ছাত্রদল কোনো কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থান নেই। অহেতুক রাজনৈতিক ভাবে এখানে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নিহতের বাবা বাদী হয়ে সিলেট শাহপরান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৫/৮৯ তারিখঃ- ৮/০৩/২০২৩ ইং। কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে পারি, বুধবার সকালে এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও অ্যাড. রনজিত সরকারের অনুসারী ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এতে অ্যাড. রনজিত সরকারের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদের অনুসারীরা। ঘটনাস্থলে মারা যায় মাসুদ।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে মাসুদ আলমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ২১ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামীদের নাম, এম সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক উপশহরের বদরুল আজাদ রানা, সদস্য সচিব টিলাগড়ের দেলওয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হরিপুরের ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ ইলিয়াস, ময়না মিয়ার ছেলে সুয়েব আহমদ, গোয়াইনঘাট থানার তোয়াক্কুলের রহিম আহমদ এর ছেলে সেলিম আহমদ, জৈন্তাপুর থানার আজির উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ, ভাতালিয়ার হারুন কলোনির সুমন মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ,হাওয়াপাড়ার ছমছু মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা খায়রুল আহমেদ, উপশহরের ডালিম আহমদের ছেলে ফয়ছল আহমদ, এম সি কলেজ ছাত্রদল নেতা লিটন, হাসান,মনসুর,সাকিল,শামীম,তাজ উদ্দিন,আনোয়ার হোসেন, হানিফ মোহাম্মদ, সোহাগ আহমদ, জুয়েল আহমদ, মাহবুব আলম, ইব্রাহিম আলী, উসমানী .........সহ আরও ১৫ জন অজ্ঞাত নামা আসামী।

শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুল রহমান বলেন, সিলেট এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে সংঘর্ষে মাসুদ আলম নিহত হয়।

জানা যায় নিহত মাসুদ আলম ছাত্রলীগ কর্মী ও এই কলেজের শিক্ষার্থী। পরে নিহতের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ