মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০ , ২০ ২৪
ইমন ইবনে সাম্রাজ::
৩১ মার্চ ২০ ২৪
২:০ ৪ পূর্বাহ্ণ

যেগুলোর উত্তর বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে চাওয়া উচিত : ইমন ইবনে সাম্রাজ
বুয়েটের আন্দোলন নিয়ে কিছু কথা

১. বুয়েটে কোন প্রকার ছাত্ররাজনীতি চালু নাই, এরপরেও কেন কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্র একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শী বা ক্লিয়ার করলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমর্থন করার কারণে ক্যাম্পাসে, হলে, ক্লাসে হয়রানি করা হচ্ছে?

২. গত ১৫ দিন আগে হিজবুততাহরীর বুয়েটের রানিং ছাত্র ছাত্রীদের মেইলে সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে, এটা নিয়ে বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কোন প্রশ্ন ওঠেনি কেন? তারা ভিসি বা DSW এর কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি কেন? তাহলে কি এই হিজবুতের কর্মীরাই এই আন্দোলনের লিড দিচ্ছে?

৩. টাঙ্গুয়ার হাওরে যেই ৩০ জন বুয়েটের স্টুডেন্ট রাষ্ট্রবিরোধী মিটিং ও জমায়েত করতে যেয়ে গ্রেফতার হলো, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো - সেই ৩০ জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কোন আন্দোলন হলো না কেন? সেই ৩০ জনের মধ্যে থাকা ছালেরা ফেসবুকে সরাসরি পোস্ট করছে এই আন্দোলন নিয়ে, তাহলে কি জেনেশুনে শিবিরের ছেলেদের নিয়ে এই আন্দোলন চালাচ্ছে বুয়েটের ছেলেমেয়েরা? তাহলে কি আমরা বলতে পারিনা, একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন করাচ্ছে শিবির ও হিজবুততাহারীর?

৪. যারা আন্দোলনের লিড দিচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক কোন দুরভিসন্ধি আছে কি'না সেই বিষয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কি কোন আলোচনা করেছেন?

৫. বুয়েটের এতোগুলো শিক্ষার্থীর মেইল এড্রেস কিভাবে বাইরে গেলো, হিজবুততাহরীর কিভাবে সেইগুলো পেলো, সেটা নিয়ে বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের লিডাররা নিশ্চুপ কেন? তারা কি এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা চান না এখন? না চাইলে কেন চাননা?

৬. যদি হিজবুততাহরীর আর শিবির নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের কোন রকম অব্জারভেশন না প্রবলেম না থাকে তবে ছাত্রলীগ নিয়েই এতো প্রবলেম কেন? বুয়েটে তো ছাত্রলীগ কোন কমিটি দেয় নি, উলটা ছাত্রদল কমিটি দিয়েছে আরও বেশ কিছুদিন আগে, সেটা নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কোন কথা বলে না কেন? ছাত্রলীগ বরং বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত ও চাওয়াকে সম্মান করেছে, যেটা অন্য কোন ছাত্র সংগঠন করে নাই l

৭. বুয়েটে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই, কোন কার্যক্রমও নেই, তাই এখন ছাত্রলীগ বিরোধী বা ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোন অর্থ নেই।

৮. বুয়েটে কেন সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ থাকার পরও পরীক্ষাও ক্লাশ বর্জনের সিদ্ধান্ত? এটা কি হিজবুত বা শিবিরের হাই-কমান্ডের সিদ্ধান্ত? এখন যদি বুয়েটে রাজনৈতিক কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা না হয়, তবে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ কেন?

৯. বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কি রাত ২ টায় ক্যাম্পাসের মেইন গেটে বসে থেকে পাহারা দেবে নাকি এই দায়িত্ব সিকিউরিটি অফিসার ও গার্ডদের? ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের অব্যাহতি চেয়ে আন্দোলন করা কতোটুকু যৌক্তিক , যদি তার পক্ষ থেকে কোন রকম অনুমতি [ লিখিত ] দেওয়া হয়ে না থাকে? স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত করাই এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য। যার নেপথ্যে রয়েছে শিবির ও হিজবুততাহরীর।

লেখক: ইমন ইবনে সাম্রাজ 

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ