বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০ ২৪
জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ::
১৯ সেপ্টেম্বর ২০ ২২
৭:২৫ অপরাহ্ণ

অভিযোগের তীর চেয়ারম্যান নোমান ও রঞ্জু হত্যা মামলার আসামী কায়ূমসহ একাধিক ব্যক্তির দিকে
নবীগঞ্জে লিটন হত্যাকান্ডে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

নবীগঞ্জে সবজী ব্যবসায়ী লিটন মিয়া (৪৮), হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযোগের তীর যাচ্ছে একাধিক ব্যক্তির দিকে। স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান নোমান হোসেনসহ লিটন মিয়ার চাচাতো ভাই রঞ্জু হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আব্দুল কায়ূমের বিরুদ্ধেও রয়েছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোতাচ্ছির জানান, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রঞ্জু হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল রমজানপুর গ্রামের মৃত সকদিল মিয়ার পুত্র আব্দুল কায়ূম। এদিকে লিটন হত্যার তথ্য উদঘাটনে কড়া নজরদারিতে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।

লিটন মিয়ার পরিবারের লোকজন জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত থেকে লিটন মিয়াকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দীঘলবাক ইউনিয়নের পোস্ট অফিসের পেছনের একটি খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জুবেল আহমেদ ও রুবেল আহমেদ নামে ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিটন মিয়ার সাথে থাকা কিছু আলামত দেখতে পান স্থানীয়রা।

এ খবর পেয়ে ওইদিন এই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মিললো লিটন মিয়ার। তাতে দেখা যায় জুবেল আহমেদ ও তার ভাই রুবেল আহমেদ লিটন মিয়ার সাথে গভীর রাতে দোকানের ভেতরে দস্তাদস্তি করছেন। দস্তাদস্তির একপর্যায়ে সিসিটিভির আওতার বাহিরে চলে আসেন তারা। এরপর দিন সকালেই জুবেল আহমেদ এর দোকান থেকে প্রায় অর্ধকিলোমিটার দুরে মিললো লিটন মিয়ার লাশ। এ ঘটনায় লাশ উদ্ধারে গিয়ে লাঞ্চিত হন চেয়ারম্যান নোমান হোসেন। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

গতকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ ঘটিকায় এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ব্যাপারে লিটন মিয়ার আপন ভাই সালেহ আহমদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি আমার ভাইকে যখন জুবেল এর দোকানে মারধর করা হয়, তখন নোমান হোসেন অবগত ছিলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকবার ঘটনার স্থানের দিকেও যান। তবে এ বিষয়টি চেয়ারম্যান আমাদের জানাননি।

চেয়ারম্যান নোমান হোসেন বলেন, সকালে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আমার উপর হামলা করা হয়। তবে কেন হামলা করা হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। পরে বুঝতে পারলাম আমার জনপ্রিয়তা দেখে ষড়যন্ত্র চলছে। লিটন মিয়ার ভাই সালেনুর জানান, তাদের ভাই খুন হওয়াতে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ জন্য মামলা করতে একটু দেরি হচ্ছে। নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, এখনো মামলা হয়নি, মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ