সোমবার, নভেম্বর ৪, ২০ ২৪
আসহাবুজ্জামান শাওন, কমলগঞ্জ::
২১ অক্টোবর ২০ ২৪
৯:০ ৫ অপরাহ্ণ

বকেয়া মজুরি না পেয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে এনটিসির চা শ্রমিকরা

বকেয়া মজুরি না পেয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দেশের এনটিসির ১৬টি চা বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এন.টি.সির বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক নেতারা গত রোববার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সোমবার থেকে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।

চা শ্রমিকদের ভাষ্য, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে অর্থকষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, সারা দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি চা বাগান আছে।

এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চা শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের ওপর আরও ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে। কমলগঞ্জের পদ্মছড়া চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কৃষ্ণলাল দেশোয়ারা বলেন, আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই।

তাঁরা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে খিদা নিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করবেন কীভাবে? চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কর্মসুচিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলগঞ্জ উপজেলার এনটিসির এক ব্যবস্থাপক জানান, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি না দেয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাকা না থাকায় শ্রমিকদের পেমেন্ট দেয়া যাচ্ছে না।

জরুরী ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদী। ন্যাশনাল টি কোম্পানীর মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তাঁরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের পরিচালনা পরিষদ পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে।

আশা করছেন, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, এখন চা বাগানগুলোতে উৎপাদনের সময়। এখন যদি শ্রমিকেরা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে চা বাগানের অনেক ক্ষতি হবে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ