রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০ ২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
২৪ জুন ২০ ২৪
৮:২১ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সবার আগে সেমিতে ইংল্যান্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর কিছুটা দুশিন্তায় নিশ্চয়ই পড়েছিল ইংল্যান্ড।সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না ইংলিশদের।তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা শুধুই জয় পায়নি,ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সবার আগে নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনালের টিকেট।

ব্রিজটাউনে আগে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্র জর্ডান-রশিদদের বোলিং তোপে ১১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায়।এরপর শুধু দেখার বাকি ছিল ইংলিশরা কত জুতা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। গ্রুপে সবার উপরে উঠতে ইংলিশদের জয়ের প্রয়োজন ছিল ১২ ওভারের মধ্যে।তবে জস বাটলার ও ফিলিপ সল্টের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ শেষ করে ৯.৪ ওভারে ১০ উইকেট হাতে রেখেই।

দাপুটে জয়ের ফলে ইংলিশদের রানরেট(+১.৯৯২) এখন দক্ষিণ আফ্রিকার(+০.৬২৫) অনেক উপরে।অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনও দুই পয়েন্টে অবস্থান করল তাদের রান রেটও(+১.৮১৪) বেশ ভালো। টানা দুই ম্যাচ জিতলেও তাই শেষ ম্যাচে হারার সুযোগ নেই প্রোটিয়াদের।

ফলে কাল দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হয়েছে। তবে বড় জয়ে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল।রিচ টপলির করা প্রথম ওভারে আন্দ্রেস গাউস(৫ বলে ৮ রান) ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও আরেক ওপেনার স্টেভেন টেলর ও তিনে নামা নিতিশ কুমার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এক পর্যায়ে ৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর।স্যাম কারানের করা সে ওভারে ফেরেন স্টেভেন টেলর ব্যক্তিগত ১২ রান সাজঘরে ফেরেন। পাওয়ারপ্লের পর বোলিংয়ে আসেন আদিল রশিদ। আইসিসির র‍্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান এই লেগ স্পিন-গুগলিতে দিশেহারা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরা।ক্যাপ্টেনই অ্যারন জোন্সকে গুগলিতে বোল্ড করেন রশিদ। এক ওভার পর নিতিশকেও ফেরান ইংলিশ এই স্পিনার। তার করা গুগলিতে বোল্ড হন নিতিশ। ২৪ বলে ৩০ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ২৭ রানের জুটি ভাঙেন কারেন। হারমিতকে ২১ রানে ফেরান তিনি। ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন ক্রিস জর্ডান। নিজের প্রথম বলেই অ্যান্ডারসনকে ২৯ রানে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় বলে আলি খানকে কোনো রান নিতে দেননি। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে করেন হ্যাটট্রিক।

ইংল্যান্ডের জার্সিতে প্রথম বোলার হিসেবে গড়েন রেকর্ডও।তাতে ১২০ রানও আর পার করা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। রান তাড়ায় নেমে রান রেট ঠিক করার মিশনে থাকা ইংল্যান্ড যে আগ্রাসী ব্যাটিং করবে সেটি জানাই ছিল।তবে প্রথমে যেন একটু সময় নিতে চাইলেন জস বাটলার ও ফিলিপ সল্ট।সৌরভ নেত্রভলকারের করা প্রথম ওভারে এল মাত্র ২ রান, হারমিৎে সিংয়ের পরের ওভারে আসে ৪ রান।তবে এরপর আর সময় নষ্ট করেননি এই দুজন। বিশেষ করে বাটলার ছিলেন খুনে মেজাজে।

নেত্রভলকারের পরের ওভারে বিশাল দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান তুলেন ইংলিশ ক্যাপ্টেন। অপরপ্রান্তে সল্ট দেখেশুনে খেলতে থাকলেও বাটলার ঝড়ো ব্যাটিং থামাননি। ৩২ বলে পূর্ণ করেন আসরের প্রথম ফিফটি।তবে তিনি মূল তান্ডবটা চালান হারমিতের করা ইনিংসে নবম ওভারে। সে ওভারে টানা পাচ ছক্কা হাঁকান ইংলিশ ক্যাপ্টেন।পরের ওভারে আরও এক ছক্কায় শেষ করেন ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ২১ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন সল্ট।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ