মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০ , ২০ ২৪
ডেস্ক রিপোর্ট ::
৮ আগস্ট ২০ ২৪
১০ :০ ৬ অপরাহ্ণ

এমপি হাবিবের অর্থযোগানদাতা সিসিক কাউন্সিলর মতিউরের নতুন মিশন!

ছাত্র জনতার আন্দোলনে পতন হয়েছে স্বৈরাচারী দাম্ভিক শেখ হাসিনা সরকারের। পালিয়ে যেয়ে জান বাচিয়ছেন তিনি। তার আকস্মিক পালিয়ে যাওয়ার বিপদজনক অবস্থায় পড়েছেন দলদাস নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সুবিধাভোগীরা।

কিন্ত এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান ব্যতিক্রম। নগরীর কালিঘাটে এক চাউল দোকানের কর্মচারী থেকে আ্ওয়ামীলীগ সরকারের সময় শুন্য থেকে কয়েকশত কোটি টাকার মালিক বনেছেন তিনি।

এনিয়ে নিজ এলাকায় রয়েছে গুঞ্জন ব্যাপক। সিলেট-৩ আসনের দুই বারের কথিতএমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের একান্ত ঘনিষ্টজন ছিলেন তিনি। নির্বাচন সহ বিভিন্ন খাতে হাবিবকে অর্থযোগান দিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন মতিউর রহমান।

সেকারনে স্থানীয় আ্ওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হয় এমপি হাবিবের। এমপি হাবিবের কল্যানে সিলেট মহানগর আওয়ামলীগের ৪২নং ওয়ার্ডের আহবায়ক নির্বাচিত হন তিনি।

কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রতিবাদের মুখে সেই ঘোষনা স্থগিত করেন মহানগর আ’লীগ। তাই বলে থেমে যাননি মতিউর। পরবর্তীতে সিসিকের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন তিনি।

ওয়ার্ডের বাঘা বাঘা আওয়ামীলীগ রাজনীতির শক্ত প্রার্থীদের পরাজিত করে ভোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত করেন তিনি। কারন টাকার খেলা, সেই সাথে স্থানীয় এমপি হাবিবের খাস লোক তিনি। ইলেকশন ইনঞ্জিনিয়ারিং সুবিধায় পড়ে যান এমপি হাবিবের বিশেষ নজরে।

এক পযার্য়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ্ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের আহবায়ক হন তিনি। সেই পদে পাত্তা পাননি প্রবীন স্থানীয় আ’লীগ নেতারা। সেই কেন্দ্রের নির্বাচনী খরচ তিনি নিজে বহন করে আরেক দফা এমপির আপনজনের তকমা গায়ে মাখেন।

তবে টিআর সহ বিভিন্ন খাতের দেখবাল ছিল তার হাতে, কারন তিনি ধান চাউল ব্যবসায়ী। ভারতীয় চোরাই চিনির ব্যবসায় তার কোটি কোটি টাকার লগ্নি রয়েছে, এমপির প্রভাবে থানা পুলিশ তার প্রতি দূর্বল।

সেকারনে ভারতীয় ট্রাক ট্রাক চিনি, তার নিজ ওয়ার্ডের তৈয়বকামালের ব্যবসা প্রতিষ্টানে নিয়ে আসতেন তিনি। তারপর পাঠিয়ে দিতেন দেশের বিভিন্ন স্থানে।

আওয়ামীলীগের ব্যনারে প্রশাসন সহ এলাকায় নিজের প্রভাব শক্তিশালী করতে সাম্প্রতিক বন্যাকালে গত ২৪ জুন বেলা ১১ টায় তার ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন বস্ত্র ্ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকে বিশাল অনুষ্টান করেন তিনি। আয়োজন সহ ত্রানের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেন তিনি নিজে।

এছাড়া মন্ত্রী সহ তার সফর সঙ্গিদের নানা উপহার দেন কাউন্সিলর মতিউর রহমান। সরকার পতনের পর এখন নতুন মিশনে নেমেছেন তিনি। এমপি হাবিবের অবর্তমানে নতুন গডফাদার খুঁজছেন বলে স্থানীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেকারনে গোপনে তৎপরতাও নাকি চালাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মুছে ফেলেছেন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিজের অংশগ্রহন সহ মেয়র এমপি মন্ত্রী এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে কাউন্সিলর শপথের ছবিটি।

তবে এখনো রয়েছে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাধারন নির্বাচনে টিউলিপ সিদ্দিকী বিজয়ী হওয়ার পর তার অভিনন্দন সম্বলিত পোস্টটি। গত (৭ আগস্ট) অতি কৌশলে হাজির হন সিসিকের এক বৈঠকে। সেখানে চলমান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীতে নিজের চেহারা দেখাতে ফটোসেশনে অংশ নেন তিনি।

এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনেকে তাকে বলেছেন, মেয়র সহ সিসিকের সব আওয়ামীলীগ রাজনীতির কাউন্সিলরা পলাতক, সেখানে কোন সাহসে আসলেন তিনি। মৃদু হেসে বলেছেন, আমি আমার ওয়ার্ডের বিএনপি জামাতের লোকদের ম্যানেজ করেছি, সমস্যা নেই। এদিকে, তার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য পাঠাচ্ছেন স্থানীয় অনেকে।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ