৯:৫৯ অপরাহ্ণ

জগন্নাথপুরে এক কিশোরের মৃ.ত্যু নিয়ে তোলপাড়!
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রিংকন বিশ্বাস (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। সে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া সমধল গ্রামের শ্রীকান্ত বিশ্বাসের ছেলে।
সে দীর্ঘদিন ধরে চিলাউড়া সমধল গ্রামের শালিসি ব্যক্তি লুলু মেম্বারের ফিসারিতে গরু রাখার কাজ করছিল। গত ২২ জুন শনিবার দুপুরে ওই ফিসারিতে তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ জুন রোববার সরেজমিনে শালিসি ব্যক্তি লুলু মেম্বার জানান, ঘটনার দিন দুপুরে খাবারের জন্য রিংকনকে আমি ডাকছিলাম। পরে দেখতে পাই, সে আমার ফিসারির পারের একটি আম গাছের নিচে থাকা গোবর পানিতে মাথা নিচে ও পা উপরে অবস্থায় মরে আছে।
তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেই। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ গণ্যমান্য লোকজন আসেন।
তাদের উপস্থিতিতে আমি তার পরিবারের লোকজনকে বলেছি, তোমাদের কোন সন্দেহ হলে আইনের আশ্রয় নেও।
আমি তোমাদের খরচ দিবো। এ সময় তাদের কোন সন্দেহ নেই বলে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্মীয় রীতিতে মাটিতে পুতে দিয়েছে। মৃত রিংকনের বাবা শ্রীকান্ত বিশ্বাস, তার মা ও তার মামা লোকেশ বিশ্বাস জানান, আমরা দেখিনি কিভাবে রিংকনের মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে গিয়ে দেখি তার মৃতদেহ লোহার একটি চৌকিতে রাখা আছে। এ সময় তাকে জড়িয়ে কান্নাকাটি করতে গিয়ে দেখি তার নাক ও মুখ দিয়ে গোবর বের হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, তার মৃত্যুতে কারো প্রতি কোন সন্দেহ নেই বলেই আমরা তাকে মাটিতে পুতে দিয়েছি।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাত মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল মিয়া জানান, রিংকনের মৃত্যুতে তার পরিবারের কেউ কারো প্রতি সন্দেহ পোষণ না করায় তাদের ধর্মীয় রীতি সৎকার করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আগে আমার জানা ছিল না। এখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আসলে কি ঘটনা তা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।