বুধবার, মার্চ ২৬, ২০ ২৫
ড্রীম সিলেট ডেস্ক
১৮ মার্চ ২০ ২০
৫:১৮ অপরাহ্ণ

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে রেহাই পেতে পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ধারা মিথ্যা মামলায় হয়রানির হাত থেকে রেহাই পেতে সিলেট পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন সাজুল ইসলাম সাজু। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ৬ষ্ঠ খন্ড ইসলামনগর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। 
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সাজুল ইসলাম সাজুর সাথে জৈন্তাপুর উপজেলার গর্দনা গ্রামের তাহির আলীর মেয়ে রেহেনা আক্তার রুমিনের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ২টি পুত্র সন্তান রয়েছে। সাজুল ইসলাম ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত। পরিবারের আর্থিক সংকট গোছাতে স্ত্রীকে ওয়ার্ড বয় হিসেবে ইবনে সিনায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। কিছুদিন পর বিভিন্ন ছেলের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হওয়ার কারনে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সাজুল ইসলাম বারবার ২টি ছেলে সন্তানের দিকে চেয়ে তাকে সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এদিকে রেহেনা আক্তার রুমিন ইবনে সিনা হাসপাতালের নামে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে আল্ট্রাসোনিক কম্পিউটার পদে আল হারামাইন হাসপাতালে চাকরিতে যোগদান করেন। যা সাজুল ইসলাম বাধা দিয়েছিলেন। সেখানে চাকরি নেয়ার পর থেকে সে আরো বেপরোয়া চলাচল শুরু করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। সাজুল ইসলাম তার এই আচরণে নিজেকে রক্ষায় সিলেট কোর্টের মাধ্যমে তাকে সংশোধনের জন্য নোটিশ পাঠায়। রুমিন বেগম যৌতুকের মামলা দায়ের করেন কোর্টে। পরে সাজুল ইসলাম তার সাথে সংসার করা সম্ভব নয় ভেবে তাকে কোর্টের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠান এবং তার কাবিনের টাকা পরিশোধের চেষ্টা করেন। রুমিন বেগমের যৌতুকের মামলার কারনে মাননীয় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ৪ দিন কারাভোগের পর যেদিন জেলখানা থেকে ছাড়া পান সেই দিনই সে হুমকি দিচ্ছে বলে তার কয়েকজন নিরপরাধ পরিচিত লোকদের উপর কোর্টে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল হিসেবে আল হারামাইন হাসপাতাল ২য় তলায় সাজুল ইসলাম নাকি দলবল নিয়ে তার উপর আক্রমণ করতে যায় জৈন্তাপুর থানার হরিপুর বাজারের বাসস্ট্যান্ডে। সম্পূর্ণ ভূয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছেন। রুমিন বেগমের হয়রানির হাত থেকে রেহাই পেতে ১৬ ফেব্র“য়ারি বুধবার সিলেট পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ নামা দায়ের করেন। তিনি আশঙ্কা করছেন সিলেট মহানগরীর যেকোন স্থানে যেকোন সময় পরিকল্পিতভাবে কোন ঘটনা সাজিয়ে তাকে হয়রানি করতে পারে অথবা তার সাথে সম্পৃক্ত লোকজনকে দিয়ে তার প্রাণ নাশ করতে পারে। তাই সাজুল ইসলাম তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। -বিজ্ঞপ্তি
 

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ