৯:৩৭ অপরাহ্ণ
কোম্পানীগঞ্জে তালের শাঁস বিক্রির ধুম
তালের শাঁস বিক্রির ধুম পরেছে কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার ও ভোলাগঞ্জ বাজারে। চলছে গরমের মাস জৈষ্ঠ।
এরইমধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো টুকের বাজারেও আম, কাঁঠাল লিচুসহ হরেক রকমের ফলের দেখা মিলছে।
সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু তালের শাঁসও। প্রচণ্ড তাপদাহে বাড়ছে এই ফলটির কদর। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতি পিছের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
তাদের দাবি, আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি।
কথা হয় টুকের বাজার তাল ব্যবসায়ী মীর কাশেম আলীর সাথে। এ তাল ব্যবসায়ী বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজারে এনে খুচরা পাইকারি বিক্রি করছি। প্রতিবছরই এ সময়ে আমরা তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি।
গরমের এ দিনে তালের শাঁস বিক্রিও হয় ভালো। বেশ চাহিদাও রয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো রয়েছে। সারাদিনে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি হয়।
মোটামুটি চলার মতো ব্যবস্থা হচ্ছে। তালের শাঁস কিনতে আসা উপজেলার পাড়ুয়া বদিকোনা গ্রামের বাসিন্দা আলেক আহমদ বলেন, এটি সুস্বাদু ফল। প্রচণ্ড গরমে তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। তাইতো তালের শাঁস কিনতে মাঝেমধ্যে টুকের বাজারে চলে আসি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে।
এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সিসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং কঁচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়। তবে সেটি পরিমাণ মতো খেতে হবে।