শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০ ২৪
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি::
২০ মে ২০ ২৩
১০ :৩২ অপরাহ্ণ

তিতাসে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমি দখলের চেষ্টা

কুমিল্লার তিতাসে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক ভূমি দখলের চেষ্টার ঘটনায় সংবাদ সস্মেলন করেছে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাজী কামাল উদ্দিন এর ছেলে মো.আমান উল্লাহ।

তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় মাছিমপুর বাজারের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সস্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাট করে বলেন-আমার পিতা মৃত কামাল উদ্দিন বলরামপুর মৌজা স্থিত সাবেক ১২৫ হালে ৫৭ নং পূর্ব বলরামপুর মৌজায়১৩৯ সিএস ২৫২ নং এস এবং ১০৮৫ নং বিএস খতিয়ান ভুক্ত হালে ১৪ দাগে ৩১ শতাংশ ভূমি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে কিছু দোকান পাট ও স্থাপনা ভোগ দখল করে আসছি।

কিন্তু ২০১৬ সালের অনুষ্ঠিত ২৮ শে মে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আমার পিতা হাজী কামাল উদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে খুন করে।যাহা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে । তিনি আরও বলেন,২০১৪ সাল থেকে উক্ত ভূমির ওপর একাধিক মামলা চলমান,কিন্তু আমার পিতার মৃত্যুের পর থেকে কিছু ভূমিদস্যু জোর পূর্বক আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের দখলীয় জমি দখলের পায়তারা করে আসতেছে।

ইদানীং উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত মিজান সরকারের ছেলে মো.হাবিবুর রহমান,পাংঙাশিয়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাঈনউদ্দিন,মাছিমপুর গ্রামের আবদুল আউয়াল মেম্বারের ছেলে ইকবাল হোসেন বাবুল,নাগেরচর গ্রামের মৃত জিএম মোশাররফ হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান জুয়েল,মাছিমপুর গ্রামের মৃত আকরম আলীর ছেলে মো.ফারুক, কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের ফজলে রাব্বি সিকদারের ছেলে মো.আজিজুর রহমান, বন্দরামপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মো.শাহ আলম নামক ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত কয়েক জন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের দখলীয় নালীশী ভূমি বে-আইনি ভাবে দখল করার চেষ্টা করে এবং দখলীয় ভূমির স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করাসহ দোকান দারদেরকে নানা রকম হুমকি-দামকি দেয় তারা। আমান উল্লাহ বলেন,আমার পিতা মরহুম কামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান গং এবং মোশাররফ হোসেন গংএর সাথে ২০১৭ সাল থেকে বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য এল এসটি কোর্ট মামলা চলমান রয়েছে।

তাই প্রতি বছর খাজনা খারিজ গ্রহণ না করার জন্য আমরা মামলার সকল কাগজপত্র তিতাস উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি)বরাবর দরখাস্ত প্রদান করে অসছি। মামলার বিবাদী সহিদ সোলায়মান মামলা চলাকালীন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্র ও স্ত্রীসহ ৩ জন ওয়ারিশ রেখে মারা যায়।কিন্তু ইদানীং কালে মৃত সহিদ সোলায়মান এর ওয়ারিশগণ কোর্টের মামলা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাবিব ও মাঈনু উদ্দিন গংদের নিকট ৩১ শতাংশের অর্ধেক অংশ ভূমি অবৈধ ভাবেই দলিল সৃজন করে বিক্রি করে দেয় এরপর থেকে ভূমি দস্যু হাবিব,মাঈন উদ্দিন,জুয়েল,বাবুলসহ অজ্ঞাত-১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি- দামকি দেয়াসহ আমাদের দখলীয় ভূমির দোকান পাট ভাংচুরসহ আমাদেরকে খুন জখম করে ফেলবে।তাই পরবর্তীতে তাদের অবৈধ ভাবে প্রস্তুতকৃত দলিল ও খারিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।

এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার জেঠা ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকসহ আমাদের ৪ জনের নামে মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মামলা করে এবং দোকান দারদেরকে হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করা থেকে বিরত রাখে তারা।

এই বিষয়ে আমরা ওসি সাহেবকে অবগত করে রেখেছি।সংবাদ সম্মেলনে আমানউল্লাহ আরও বলেন,হাবিব গংদের কারও কারও নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।তার বিরুদ্ধে এলাকার অন্যান্য ভূমিও জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে।তারা আমাদের পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছুদিন আগে মিথ্যা,ভিত্তিহীন,মনগড়া, কাল্পনিক ও অসত্য দিয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সস্মেলন করেছে বলেও তিনি জানান।সংবাদ সস্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক,শহিদ সরকার, আক্তার হোসেন, নুর মোহাম্মদ, সাগরসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

ফেইসবুক কমেন্ট অপশন
এই বিভাগের আরো খবর
পুরাতন খবর খুঁজতে নিচে ক্লিক করুন


আমাদের ফেসবুক পেইজ